মুম্বই: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরম বীর সিংহ। তাঁর দাবি, একাধিক অনৈতিক কাজে যুক্ত মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সদ্য গ্রেফতার হওয়া মুম্বই পুলিশের সহকারী কমিশনার সচিন ওয়াজকে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা জোগাড় করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরম বীর সিংহের এই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরেই মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।


চিঠিতে মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার লিখেছেন, ‘সচিন ওয়াজ মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান ছিলেন। গত কয়েকমাসে তাঁকে নিজের বাসভবনে ডেকে পাঠান মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তিনি সচিনকে বলেন, টাকা জোগাড়ের কাজে তাঁকে সাহায্য করতে হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় এবং তার পরেও সচিনকে নিজের বাসভবনে ডেক পাঠান মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সময় তাঁর ব্যক্তিগত সচিব সহ কয়েকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিন ওয়াজকে বলেন, প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা জোগাড় করে দিতে হবে।’



মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ট্যুইটে তিনি দাবি করেছেন, ‘মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরম বীর সিংহ নিজেকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কারণ, মুকেশ অম্বানি ও মনসুখ হীরেনের ঘটনায় সচিন ওয়াজের জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্তে ক্রমশঃ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তদন্তের গতি পরম বীর সিংহের দিকে এগোচ্ছে।’


মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘শনিবার বিকেল ৪.৩৭ মিনিটে অন্য একটি ই-মেল অ্যাড্রেস থেকে পরম বীর সিংহের চিঠি আসে। তাঁর সরকারি ই-মেল অ্যাড্রেস থেকে চিঠি আসেনি এবং চিঠিতে তাঁর স্বাক্ষরও নেই। এই নতুন ই-মেল অ্যাড্রেসটি খতিয়ে দেখতে হবে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে স্বরাষ্ট্র দফতর।’


এদিকে, মনসুখ হীরেন হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। শিল্পপতি মুকেশ অম্বানির বাসভবনের বাইরে বোমাতঙ্কের সঙ্গে এই ঘটনার যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।


৫ মার্চ মহারাষ্ট্রের ঠানে থেকে উদ্ধার হয় হীরেনের দেহ। প্রথমে তদন্তভার নেয় মহারাষ্ট্রের এটিএস। এবার তদন্ত শুরু করল এনআইএ।