শিলিগুড়ি : উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা, অসম, বিহারে মৃদু ভূমিকম্প। রাত ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫ দশমিক ৪। ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল সিকিম-নেপাল সীমান্ত। দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে কম্পন অনুভূত। উত্তর দিনাজপুরেও কম্পন অনুভূত। আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন সাধারণ মানুষ। এখনও ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। 


যে ঘটনার কিছুটা পরে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে গোটা ঘটনা নিয়ে খোঁজখবর নেন রাজ্যপাল জগদীপ খনখড়। তিনি নিজে পরে ট্যুইট করে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে শিলিগুড়িতে, তিনি ঠিক আছেন, আর ভূমিকম্পের আঁচ সেভাবে পড়েনি জেনে আশ্বস্ত হলাম। গ্যাংটক থেকে ২৫ কিমি দূরে এপিসেন্টার বলেও জানান তিনি।


 



 


কিছুদিন আগে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান। গত ২০ মার্চ স্থানীয় সময় অনুযায়ী সন্ধে ৬.০৯ মিনিটে মিয়াগি প্রদেশে কম্পন অনুভূত হয় সেখানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। ইশিনোমাকি শহর থেকে পূর্বদিকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে ভূগর্ভের ৬০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয়। এই কম্পনের জেরে জাপানের রাজধানী টোকিওর সব বাড়িঘরও কেঁপে উঠেছিল। জারি হয়েছিল সুনামি-সতর্কতা। তবে পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।


গত মাসের শুরুর দিকে, জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপেছিল নিউজিল্যান্ডে। সেবার কম্পনের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৩। শুক্রবার ভোরের দিকে নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপে এই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর জারি হয়েছিল সুনামি-সতর্কতা।  প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি ওয়ার্নি সেন্টারের পক্ষ থেকে যে কথা জানানো হয়েছিল।


গত কয়েক মাসে উত্তর ভারত সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে ঘন ঘন ভূকম্প হচ্ছে।  গত বছরের শেষ থেকে চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত একাধিকবার দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাধিক অঞ্চল বারবার ভূকম্পনের দাপটে পড়েছে। গত বছর ১৮ ডিসেম্বর ভূমিকম্পে কেঁপে উছেঠিল রাজধানী  দিল্লি সহ আশেপাশের এলাকা। ফের ২৮ জানুয়ারি সকালে ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল এনসিআর এলাকা।


উত্তরবঙ্গও একাধিকবার মৃদু ভূমিকম্প কেঁপেছে মাঝেমধ্যে।