নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একটিও আসন পায়নি। এই ফলের জেরে দিল্লিতে দলের ভারপ্রাপ্ত নেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পি সি চাকো। আজ তিনি জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রতিক নির্বাচনে দলের ভরাডুবির নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।’


দিল্লিতে পরপর দু’বার বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হাতে ফিরতে হল কংগ্রেসকে। গতকাল ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। কংগ্রেস নেতারা একে-অপরের দিকে দলের এই খারাপ ফলের দায় ঠেলে দিচ্ছেন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দলের এই অবস্থার জন্য দিল্লির তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে দায়ী করে চাকো বলেন, ‘২০১৩ সালে যখন শীলা দীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই কংগ্রেসের পতন শুরু হয়। নতুন দল আম আদমি পার্টির উত্থানের ফলে কংগ্রেসের গোটা ভোটব্যাঙ্ক চলে গিয়েছে। আমরা সেই ভোটব্যাঙ্ক ফেরত পাইনি। এখনও সেই ভোটব্যাঙ্ক আপ-এর কাছেই আছে।’

এই সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর দলের অন্যান্য নেতাদের আক্রমণের মুখে পড়েন চাকো। তাঁর সমালোচনা করে মুম্বইয়ের কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা ট্যুইট করেন, ‘মৃত্যুর পরেও শীলাজিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। তিনি সারাজীবন কংগ্রেস ও দিল্লির মানুষের জন্য কাজ করেছেন।’

এরপর অবশ্য নিজের বক্তব্যের সাফাই দিয়ে চাকো বলেন, ‘আমি বলিনি শীলাজির সময়ে আমরা হেরে গিয়েছি। আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমরা ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সালের ভোটে হেরে গিয়েছি। কারা এই বিতর্ক তৈরি করছে, সেটা আমি জানি। আমার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচার চলছে। এর আগেও আমি এটা দেখেছি।’