সাউদাম্পটন: একদিনের খারাপ পারফরম্যান্সে লোকে দশদিনের সাফল্য ভুলে যায়। বিশ্বকাপের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯ ওভারে ১১০ রান দেওয়ার পর এমনই উপলব্ধি রশিদ খানের।


শনিবার ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ। আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার বলেছেন, ‘মানুষ দশদিনের ভাল পারফরম্যান্স ভুলে যায়। কিন্তু একটা খারাপ দিন মনে রাখে।’ বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান খরচ করার লজ্জা হজম করতে হয়েছে রশিদকে। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে কার্যত থিতুই হতে পারেননি। রশিদ যদিও বলছেন, ‘ওই ম্যাচ নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। মানুষ মনে রাখেনি আগের দশদিন রশিদ কেমন পারফর্ম করেছে। আমি তাই ওই ম্যাচের ভুলগুলো বিশ্লেষণ করছি যাতে পরের ম্যাচের আগে সেগুলো সংশোধন করে নিতে পারি। সমালোচনা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। বিষয়টাকে খুব বেশি জটিল করে ফেলতে চাই না।’

ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বের তিন নম্বর বোলার রশিদ। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বসেরা। বিশ্বকাপের মাঝপথে আফগান শিবিরে অশান্তির কালো মেঘ। দলের বিপর্যয়ের পর প্রধান নির্বাচক দওলত আহমেদজাই আঙুল তুলেছিলেন কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের বিরুদ্ধে। কোচ ফিল সিমন্স আবার বিশ্বকাপের ঠিক আগে আসগর আফগানকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর নেপথ্যে প্রধান নির্বাচককে দায়ী করেছেন। নতুন অধিনায়ক গুলবদিন নইবের সঙ্গে সম্পর্ক কি পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে? রশিদ বলেছেন, ‘আমি গুলবদিনের হয়ে বা আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে খেলি না। আমি খেলি আফগানিস্তানের জাতীয় দলের হয়ে।’

আফগানিস্তানের টানা পাঁচ ম্যাচে হারের পর গুলবদিনের সঙ্গে রশিদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা চলছে। রশিদ যদিও বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে গুলবদিনের কোনও সমস্যা নেই। আসগরকে অধিনায়ক হিসাবে যেরকম সমর্থন করতাম, গুলবদিনকেও করছি। আসগর যদি মাঠে আমার পঞ্চাশ শতাংশ সমর্থন পেত, গুলবদিন ১০০ শতাংশ পাচ্ছে। ইংল্যান্ডে পৌঁছনোর পর কেউ কিন্তু এ নিয়ে কোনও কথা বলেনি। আমার ধারণা ব্যাপারটা সংবাদমাধ্যমের তৈরি করা। আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে একসঙ্গে খেলছি। এক দশকের বেশি সময় খেলার পর যদি কোনও সমস্যা না হয়, তাহলে এক-দুদিনে কী হবে।’

রশিদ বলেছেন, ‘আমি জানি আমার দায়িত্বটা কী। আমি বা নবি যে টুইট করেছিলাম, তা আসগরের সমর্থনে নয়। আফগানিস্তানের ক্রিকেটের সমর্থনে। অন্য কেউ অধিনায়ক হলেও আমার অবস্থান একই থাকত। আমরা বিশ্বকাপ খেলতে আসছিলাম আর এত বড় টুর্নামেন্টের আগে টিম কম্বিনেশন নিয়ে কাটাছেঁড়া করাটা ঠিক নয়। অধিনায়ক বদলানো সঠিক হয়নি।’

রশিদ মেনে নিয়েছেন, বড় দলের বিরুদ্ধে খেলার অনভিজ্ঞতা তাঁদের সমস্যায় ফেলেছিল। বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে বেশি খেলিনি। সেটা সমস্যায় ফেলেছিল। ওয়ান ডে-তে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম খেললাম। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ফের খেললাম। কোনও দলের বিরুদ্ধে চার বছরে একবার খেললে সমস্যা হবেই। তবে ক্রিকেটার হিসাবে আমরা বুঝি যে, আরও পরিশ্রম করতে হবে। পেস বোলিং নিয়ে আমাদের সমস্যা রয়েছে। ঘণ্টায় ১৪০ কিমি গতিতে বল করার মতো পেসার চাই।’