কলকাতা: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেসের ডাকা ভারত বনধ ও বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি দেখা গেলেও রাস্তাঘাটে অন্যদিনের মতই সাধারণ মানুষের ভিড়। দোকানপাটও খোলা। এই মুহূর্তে দেখে নেওয়া যাক শহরের কিছু এলাকার পরিস্থিতি।


মানিকতলা মোড়ে পথ অবরোধ করে উত্তর কলকাতা জেলা কংগ্রেস। বাগমারী থেকে মিছিল করে এসে বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ মানিকতলা মোড় অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। মিনিট দশেক পরে অবরোধ তুলে নেন।

ভারত বনধের সমর্থনে মৌলালিতেও কংগ্রেস পথ অবরোধ করে। বেলা ১০টা নাগাদ শুরু হয় এই অবরোধ।  মিনিট দশেক পর উঠে যায়। কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হলেও পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।

ভারত বনধের সমর্থনে দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে আপ ও ডাউন লাইনে রেল অবরোধ করল কংগ্রেস। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ রেল অবরোধ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। মিনিট পঁয়ত্রিশ পর জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীরা এসে অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেন।

১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের সমর্থনে যাদবপুর স্টেশনে বাম কর্মীরা রেল অবরোধ করলেও যাত্রীদের চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হন তাঁরা। সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ যাদবপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করে বামেরা। আটকে দেওয়া হয় ক্যানিং লোকাল। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। মিনিট কুড়ি পরে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন অবরোধকারীরা।



কংগ্রেসের ভারত বনধ ও বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটে জনজীবন সচল রাখতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, আজ রাজ্যজুড়ে মোট ৪ হাজার সরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় ৮০০টি বেশি।

কলকাতা সহ নানা জেলায় পরিষেবা দিচ্ছে ১২৫টি জলযান, অন্যান্য দিনের তুলনায় ৪৫টি বেশি। কলকাতার রাস্তায় নেমেছে অতিরিক্ত ৫০টি ট্রাম। পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে খবর, অতিরিক্ত বাস রয়েছে শিয়ালদা, হাওড়া এবং কলকাতা বিমানবন্দর থেকে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে কলকাতার পাশাপাশি জেলা সদরেও রয়েছে কন্ট্রোল রুম। শিয়ালদা ও হাওড়ায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী রাখা হয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষও।