নয়াদিল্লি: প্লাজমা থেরাপিতে এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট রোগী সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন। তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্লাজমা থেরাপির পর তিনি সঙ্কটমুক্ত হচ্ছেন। তাঁকে ভেন্টিলেটরের বাইরে আনা হয়েছে। ৪৯ বছর বয়সি এই ব্যক্তির উপরেই প্রথম প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হল। এক বিবৃতি দিয়ে এমনই জানিয়েছে দক্ষিণ দিল্লির সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতাল।

৪ এপ্রিল দিল্লির বাসিন্দা ওই রোগী করোনা আক্রান্ত বলে জানা যায়। সেদিনই তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁকে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হয়। এরই মধ্যে তাঁর নিউমোনিয়া হয়। ৮ এপ্রিল তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। কিন্তু তাতেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই ব্যক্তির পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করার অনুরোধ জানান। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে, করোনামুক্ত হওয়া কোনও ব্যক্তির শরীর থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে রোগীর পরিবারই এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। ১৪ এপ্রিল রাতে প্লাজমা থেরাপি হয়। চারদিন পর থেকেই তাঁর উন্নতি হতে থাকে। তিনি এখন অনেক ভাল আছেন।

প্রথম প্লাজমা থেরাপির বিষয়ে ম্যাক্স হেলথকেয়ারের গ্রুপ মেডিক্যাল ডিরেক্টর সন্দীপ বুধিরাজা জানিয়েছেন, ‘প্লাজমা থেরাপিতে কাজ হওয়ায় আমরা খুশি। এর ফলে এই কঠিন সময়ে চিকিৎসার নতুন পথ খুলে গেল। তবে প্লাজমা থেরাপি কোনও জাদু নয়। অন্যান্য সব ধরনের চিকিৎসা একইসঙ্গে হয়েছে।  প্লাজমা থেরাপির ফলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শুধু প্লাজমা থেরাপিতে কাজ হয়েছে, এটা বলা যাবে না।’