গাজিপুর: কংগ্রেসের বক্তব্য, ৩ রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে এসেই কৃষিঋণ মকুব করেছে তারা, এতে উপকৃত হয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। কিন্তু উত্তর প্রদেশের গাজিপুরে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই কৃষিঋণ ইস্যুতেই আক্রমণ শানালেন কংগ্রেসের ওপর। তাঁর অভিযোগ, কর্নাটকে অল্পসংখ্যক কৃষকের ঋণ মকুব করা হয়েছে, কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ কৃষকদের প্রতি নিষ্ঠুর ঠাট্টা ছাড়া কিছু নয়।


প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, কর্নাটকে জেডিএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস। কিন্তু তারা ঢাকঢোল পিটিয়ে কৃষিঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করলেও দেখা যাচ্ছে, আসলে তাতে উপকৃত হয়েছেন অল্প কয়েকজন কৃষক, সিংহভাগ যে তিমিরে ছিলেন, রয়ে গিয়েছেন সেখানেই। কংগ্রেসের এই কৃষিঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত অন্যতম নিষ্ঠুর ঠাট্টা হিসেবে ইতিহাসে থেকে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, কৃষকরা মনোযোগ চান। কিন্তু কর্নাটকে যাঁরা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁরা ঔদ্ধত্যের সাগরে নিমজ্জিত। সাধারণ মানুষ চান উন্নয়ন। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা শুধু তাঁদের ‘রাজবংশের’ উন্নতি চান।মানুষের দাবি, দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের চাহিদা, উন্নয়নমুক্ত দুর্নীতি।

গাজিপুরে একটি মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী, প্রকাশ করেন একটি স্মারক স্ট্যাম্প। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন কর্নাটকের বেলেগাভি, বিদার, দাভানগেরে, ধারওয়াড় ও হাভেরির বিজেপি বুথ কর্মীদের সঙ্গে। তিনি বলেন, কংগ্রেসিরা গোটা দেশ ঘুরে ঘুরে বলে বেড়াচ্ছে, চাষীদের জন্য কী করেছে তারা, কৃষিঋণ মকুবের কৃতিত্ব দাবি করছে। তারা কি কৃষকদের আত্মহত্যারও কৃতিত্ব নেবে এবার? তাঁর প্রশ্ন।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ঘোষিত লক্ষ্য, ২০২২-র মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করে তোলা। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে কৃষকদের দুঃখকষ্ট নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল ওঠায় তারা এখন তাঁদের কিছু বিশেষ সুযোগ সুবিধে দেওয়ার কথা ভাবছে। কিন্তু কংগ্রেস জোরদার প্রচার চালাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক বিরোধী, এই প্রচারের পালে হাওয়া দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে তারা জিতে নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও রাজস্থানের মত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য।