নয়াদিল্লি: নতুন সিবিআই অধিকর্তা নিয়োগের ব্যাপারে সম্ভবত ২৪ জানুয়ারি বৈঠকে বসতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের সিলেকশন কমিটি। তাতে দেশের প্রধান বিচারপতি ও লোকসভায় বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেও আছেন। সূত্রের দাবি, সরকার ২১ জানুয়ারি ওই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল, খাড়্গে চেয়েছিলেন বৈঠক হোক ২৪ বা ২৫ জানুয়ারি। দুপক্ষের আলোচনার পর সরকার ঠিক করে ২৪ তারিখই নতুন সিবিআই ডিরেক্টর বাছাই হবে। গত ১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি দুর্নীতি, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে অলোক বর্মাকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে সিবিআই ডিরেক্টর পদটি খালি রয়েছে। বর্মাকে ডিরেক্টর জেনারেল, ফায়ার সার্ভিস করা হয়। আইপিএস অফিসার এম নাগেশ্বর রাওকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অন্তর্বর্তী অধিকর্তা নিয়োগ করে সরকার।
খাড়্গে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে স্থায়ী সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগের জন্য দ্রুত কমিটির বৈঠক ডাকার দাবিও করেছিলেন।


এদিকে নাগেশ্বর রাওকে সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তী ডিরেক্টর পদে নিয়োগের ১০ জানুয়ারির সরকারি আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কমন কজ ও আরটিআই কর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজের আবেদনের আগামী সপ্তাহে শুনানি করতে সম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনটি যাতে দ্রুত শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে সেই আর্জি পেশ করেছিলেন কমন কজ-এর কৌঁসুলি আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও অঞ্জলি। তাঁরা শুক্রবারই শুনানির আবেদন করেন। কিন্তু শুক্রবার শুনানি করা কোনওমতেই সম্ভব নয়, পরের সপ্তাহে শোনা যেতে পারে বলে প্রশান্ত ভূষণকে জানান প্রধান বিচারপতি। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতিদ্বয় এল এন রাও ও এস কে কউল।
পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, সিবিআই ডিরেক্টর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট মেকানিজম চালু হোক। নাগেশ্বরের নিয়োগ প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশে হয়নি। পিটিশনে এও বলা হয়েছে, গত ২৩ অক্টোবর নাগেশ্বরকে সিবিআই অন্তর্বর্তী ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগের সরকারি আদেশ গত ৮ জানুয়ারির রায়ে সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করলেও সরকার আবার সংশ্লিষ্ট আইন পুরোপুরি লঙ্ঘন করে সম্পূর্ণ একপেশে, বেআইনি ঢঙে তাঁকেই ফের সেই পদে বসায়।