নয়াদিল্লি: অযোধ্যায় রাম-মন্দির নির্মাণের কাজ তদারকি করতে গঠন করা হবে ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ নামে একটি পৃথক ট্রাস্ট। বুধবার লোকসভায় এই কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামনের শনিবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ঠিক তার তিনদিন আগে, লোকসভায় মোদির এই ঘোষণা বিজেপির ভোট-কৌশলের অঙ্গ হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন নিম্নকক্ষে মোদি বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির উন্নয়নে একটা প্রকল্প তৈরি করেছি। একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। আমি অত্যন্ত খুশি যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী একটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করে নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী এই ট্রাস্ট গঠনের প্রস্তাব পাশ করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তিনি যোগ করেন, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছিল, যা মঞ্জুর করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
গত নভেম্বর মাসে বহু দশকের অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি করে সুপ্রিম কোর্ট। রাম লাল্লার পক্ষে রায় দেয় শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। সর্বোচ্চ আদালত তার রায়ে জানিয়েছিল, সরকারের গঠিত ট্রাস্টের হাতে গোটা ২.৭ একর বিতর্কিত জমিকে হস্তান্তর করা হবে। এই ট্রাস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ পর্যবেক্ষণ করবে। পাশাপাশি, মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পৃথক জায়গায় ৫ একর জমি দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এরপরই জানান, ওই ট্রাস্টে ১৫ জন সদস্য থাকবেন। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ১৫ সদস্যবিশিষ্ট হবে। তাঁদের মধ্যে একজন দলিত সম্প্রদায়ের হবে। ফলে সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হবে। এই অসাধারণ সিদ্ধান্তগ্রহণের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।





এদিকে, সূত্রের খবর, বিজেপির কেউ এই ট্রাস্টে থাকবেন না।