২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর জনৈক ফিজিওথেরাপি ছাত্রী দিল্লিতে চলন্ত বাসের মধ্যে ভয়াবহ গণধর্ষণের শিকার হন। দিনকয়েক পর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকেই সংবাদমাধ্যম আখ্যা দেয় নির্ভয়া বলে। এই ঘটনায় অপরাধী সাব্যস্ত হয় মুকেশ সিংহ, রাম সিংহ, বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত ও এক অপ্রাপ্তবয়স্ক। রাম সিংহ তিহার জেলে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়, আইনি ফাঁকে রেহাই পেয়ে যায় অপ্রাপ্তবয়স্কটিও। বাকি ৪ জনের ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ছটায় ফাঁসির কথা ছিল। কিন্তু তারা পরপর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে থাকায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এই ৪ জনের মধ্যে মুকেশ ও বিনয়ের হাতে আর কোনও আইনি উপায় নেই, সব দিক চেষ্টা করে দেখেছে তারা। রাষ্ট্রপতিও তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। অক্ষয়ের আবেদন এখনও পড়ে রাষ্ট্রপতির কাছে, পবন এখনও আবেদন করেনি। এদিকে তিহারে ফাঁসির সব প্রস্তুতি সারা, মেরঠের তৃতীয় প্রজন্মের ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লি হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর অনির্দিষ্টকালের যে স্থগিতাদেশ এনেছে, তা চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্র। ফাঁসির নতুন দিন অবিলম্বে ঘোষণা করার আবেদন করেছে তারা।