নয়াদিল্লি: রাজ্যগুলির থেকে তথ্যে সংগ্রহের পর রবিবার সন্ধেবেলা সম্ভবত দেশে লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সূত্রের মতে, আগামী ১২ এপ্রিল, দেশের উদ্দেশে ফের একবার বার্তা দিতে পারেন মোদি। সেখানেই সম্ভবত দেশব্যাপী লকডাউনের সময় বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করতে পারেন। কেন্দ্রীয় সূত্রের মতে, আগামীকাল সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই সম্ভবত এই মর্মে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
ইতিমধ্যেই, একাধিক রাজ্য লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছে। রাজ্যগুলি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রসার রুখতে হলে লকডাউনকে আরও সময় দিতে হবে। বর্তমানে ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যে দিয়ে চলছে দেশ। সেই সময়সীমা আগামী ১৪ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে শেষ বৈঠকে অভিন্ন নিকাশি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন মোদি। সেখানে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে পরামর্শ চান। এর জন্য রাজ্যগুলিকে টাস্কফোর্স গঠন করার নির্দেশ দেন। ওই টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ প্রদান করবে। শনিবারের বৈঠকে, সব রাজ্যগুলি নিজ নিজ টাস্ক ফোর্স থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাব নিয়ে উপস্থিত থাকবেন। সব কিছু পর্যালোচনা করে লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বুধবারই, সংসদের বিভিন্ন দলনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি জানান, বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর কাছে যে প্রস্তাব ও রিপোর্ট এসেছে, তাতে এখনই লকডাউন প্রত্যাহার করার কোনও পরামর্শ নেই। যেমন, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে জোরাল সওয়াল করেছেন। বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে তিনি এ-ও বলেছেন, আগামী জুন পর্যন্ত কঠোরভাবে লকডাউন করা উচিত।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ তারিখ মধ্যরাত থেকে গোটা দেশে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদি বলেছিলেন, দেশকে বাঁচাতে গেলে, নাগরিকদের বাঁচাতে গেলে লকডাউন ছাড়া উপায় নেই। প্রত্যেক জেলা, গ্রামকে লকডাউন করা হচ্ছে। এটা জনতা কার্ফুর থেকেও কঠোর। যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। এই লকডাউন ২১ দিনের। না হলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বাইরে বেরনো কী, ভুলে যান। ঘরে থাকুন। ঘরের দরজায় লক্ষ্মণরেখা টেনে দিন। ঘরের বাইরে পা পড়লে করোনা ঘরে আসতে পারে।
শুক্রবারের হিসেব অনুযায়ী, ভারতে করোনায় মৃত বেড়ে ২০৬ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জন মারা গিয়েছেন। আক্রান্ত বেড়ে ৬৭৬১। করোনা-সংক্রমণ মুক্ত ৫১৬ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। সেখানে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন ১৩৬৪ জন। করোনা আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি। সেখানে করোনা আক্রান্ত ৮৯৮, তামিলনাড়ুতে ৮৩৪ জন।