নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সহ চার রাজ্যে সরকার গড়ছে বিজেপি (BJP)। উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) পরপর দু’বার সরকার গড়ছে বিজেপি। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত সারা দেশের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এই জয়ের পর আজ নয়াদিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে যান নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি জয়ের জন্য দলীয় কর্মী সমর্থকদের অভিনন্দন জানান। 


নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আজ উৎসবের দিন। এই উৎসব ভারতের গণতন্ত্রের জন্য। এই ভোটে অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেক ভোটারকে অভিনন্দন, কৃতজ্ঞতা। যেভাবে মা-বোন-যুব সমাজ বিজেপিকে সমর্থন করেছে, তা অভাবনীয়। ভোটের সময় বিজেপি কর্মীরা কথা দিয়েছিলেন, এবার হোলি ১০ মার্চ থেকেই শুরু হবে। আমাদের কর্মীরা সেই কথা রেখেছেন। বিজেপির সব নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানাই। মানুষের মন, বিশ্বাস জয়ে নেতা-কর্মীরা সফল হয়েছেন।’


নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘দেশ বহুবার দ্বিতীয় দফায় একই প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে, কিন্তু প্রথমবার উত্তরপ্রদেশে পরপর দুবার কোনও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এলেন। গোয়ার মানুষ তৃতীয়বার সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডেও বিজেপি নতুন রেকর্ড করেছে। প্রথমবার কোনও দল পরপর দু’বার ক্ষমতায় এল। বিজেপিকে দেশের চার দিক থেকে মানুষ আশীর্বাদ করেছে। বিজেপির নীতি, উদ্দেশ্যর উপর মানুষের অপার বিশ্বাসই এই জয়ের নেপথ্যে। আগে মানুষ নিজের অধিকারের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরতেন। সরকারি দফতরে ঘুরতে হত, ঘুষ দিতে হত। গরিব-উন্নয়নে ঘোষণা, প্রকল্প অনেক হয়েছে, কিন্তু যাদের সেই প্রকল্পে অধিকার, তাঁরা সেই প্রকল্পের সুবিধা পাননি। মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম বলে জানি, মানুষের কাছে প্রকল্প পৌঁছে দিতে কত পরিশ্রম করতে হয়। বিজেপি গরিব মানুষকে ভরসা দেয়, প্রত্যেকের ঘরে সুবিধা পৌঁছে যাবে। আর আমি গরিব মানুষের কাছে সুবিধা না পৌঁছনো অবধি শান্তিতে থাকতে পারি না। দু’দশক ধরে মুখ্যমন্ত্রী থাকায় জানি কীভাবে মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিতে হয়। আমি বলেছিলাম, ১০০ শতাংশ কাজ করবে আমাদের সরকার। আমরা প্রত্যেক গরিব মানুষের কাছে পৌঁছব। ভোটের ফলাফলে মা-বোনেদের অনেক বড় অবদান রয়েছে। যেখানে পুরুষদের তুলনা মহিলারা বেশি ভোট দিয়েছেন, সেখানেই বিজেপি বড় জয় পেয়েছে। ভারতের মা-বোনেরা নিরন্তর বিজেপিকে বিশ্বাস করছেন। তাঁরা জানেন যে সরকার তাঁদের পাশে সবসময় আছে।’


বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বিরোধীদের বলব, পুরনো কৌশল বদলে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করুন। জাতিবাদের নামে বিরোধীরা উত্তরপ্রদেশের মানুষকে অপমান করেন। ভোটে জাত-রাজনীতির কথা বলে উত্তরপ্রদেশকে অপমান করা হয়। এই ফলাফলে উত্তরপ্রদেশের মানুষ সেই অপমানের জবাব দিয়েছেন। জাতির গৌরব দেশকে জোড়ার জন্য, ভাঙার জন্য নয়। ২০২২-এর ফলাফল নিশ্চয় ঠিক করে দিল ২০২৪-এ কী হবে। পঞ্জাবে বিজেপি এক নতুন শক্তি হিসেবে উঠে আসবে, আমি দেখতে পাচ্ছি। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি সম্পর্কে সবসময় সতর্ক থাকবে বিজেপি কর্মীরা। পরবর্তী পাঁচ বছরে প্রাণ বাজি রেখে বিজেপি কর্মীরা নজর রাখবে।’