কয়েকদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হাঙ্গামায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের তিনটি অ্যাকাউন্টই চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে যাতে তিনি আর হিংসায় ইন্ধন জোগাতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ট্যুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হার কিছুতেই মানতে পারছেন না ট্রাম্প। তাঁর দাবি, ভোটে কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা করার আগের দিন ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চালান ট্রাম্পের সমর্থকরা। তাঁরা জোর করে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন এক মহিলা সমর্থক। ওয়াশিংটনে জারি করা হয় কার্ফু। এর আগে ট্রাম্প কয়েক হাজার সমর্থকের সামনে বক্তৃতা দেন। তিনি ঘোষণা করেন, আমরা কখনও পরাজয় স্বীকার করব না। অশান্তির জেরে বন্ধ করে দিতে হয় ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটগণনা। নিরাপত্তার খাতিরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ক্যাপিটল বিল্ডিং থেকে বার করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরে অবশ্য পরাজয় স্বীকার করে নেন ট্রাম্প। তিনি দেশে শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ট্যুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ট্যুইটগুলির বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখে আমরা অ্যাকাউন্টটি পাকাপাকিভাবে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে তিনি হিংসায় আর ইন্ধন জোগাতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া ট্রাম্পের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দিয়েছে ট্যুইটার। তাঁরা হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন ও অ্যাটর্নি সিডনি পাওয়েল। তাঁদের বিরুদ্ধেও হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।