নয়াদিল্লি: ‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার জেরে এখন ট্যুইটারে ক্ষমতার অলিন্দে থাকা রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ট্যুইটারে ট্রাম্পের ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ৮৮.৭ মিলিয়ন। সেখানে মোদির ফলোয়ার সংখ্যা ৬৪.৭ মিলিয়ন। সবমিলিয়ে অবশ্য রাজনীতিবিদদের মধ্যে ট্যুইটারে ফলোয়ার সংখ্যার বিচারে সবার আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ১২৭.৯ মিলিয়ন। এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে জয়ী হওয়া জো বাইডেনের ফলোয়ার সংখ্যা ২৩.৩ মিলিয়ন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফলোয়ার সংখ্যা ২৪.২ মিলিয়ন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ফলোয়ার সংখ্যা ২১.২ মিলিয়ন।


কয়েকদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হাঙ্গামায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের তিনটি অ্যাকাউন্টই চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে যাতে তিনি আর হিংসায় ইন্ধন জোগাতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ট্যুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হার কিছুতেই মানতে পারছেন না ট্রাম্প। তাঁর দাবি, ভোটে কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা করার আগের দিন ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চালান ট্রাম্পের সমর্থকরা। তাঁরা জোর করে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন এক মহিলা সমর্থক। ওয়াশিংটনে জারি করা হয় কার্ফু। এর আগে ট্রাম্প কয়েক হাজার সমর্থকের সামনে বক্তৃতা দেন। তিনি ঘোষণা করেন, আমরা কখনও পরাজয় স্বীকার করব না। অশান্তির জেরে বন্ধ করে দিতে হয় ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটগণনা। নিরাপত্তার খাতিরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ক্যাপিটল বিল্ডিং থেকে বার করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরে অবশ্য পরাজয় স্বীকার করে নেন ট্রাম্প। তিনি দেশে শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

ট্যুইটারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ট্যুইটগুলির বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখে আমরা অ্যাকাউন্টটি পাকাপাকিভাবে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে তিনি হিংসায় আর ইন্ধন জোগাতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এছাড়া ট্রাম্পের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দিয়েছে ট্যুইটার। তাঁরা হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন ও অ্যাটর্নি সিডনি পাওয়েল। তাঁদের বিরুদ্ধেও হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।