নয়াদিল্লি: করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে দ্রুত, করোনা সংক্রমণ রোধে আরও বেশি সক্রিয় হোক সরকার,  মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী।ভিডিও কনফারেন্সে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গুজরাত, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, তামিলনাডু, তেলেঙ্গনা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরাও।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে প্রতিটি রাজ্যের ভূমিকাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিটি রাজ্যের ভূমিকাই দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও আক্রান্ত শনাক্ত হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে পরীক্ষা করতে হবে।

" করোনায় মৃতের হার ক্রমেই কমছে, বাড়ছে সুস্থতার হার। তার মানে করোনা-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা ঠিক রাস্তাতেই আছি।'', দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লির বেশ কয়েকটি জেলার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আগে ওই জায়গাগুলির কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল। তারপর সরকার অমিত শাহর তত্ত্বাবধানে  একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির কাজের সুফল মিলেছে সেই এলাকাগুলিতে।

দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ। তারপর যথাক্রমে তামিলনাডু ও অন্ধ্রপ্রদেশ।

মোদি বলেন,  সংক্রমণে রাশ টানতে প্রতিটি রাজ্যে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এখন বিহার, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গনায় করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর দিকে নজর দেবে।

কন্টেনমেন্ট জোনগুলি আলাদা করে রাখতে হবে সংক্রমণে রাশ টানতে। বৈঠকে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ফের রাজ্যের বকেয়ার প্রসঙ্গ তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| ৫৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রের কাছে সরব হন তিনি। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি তুলে ধরেন। বলেন, কীভাবে প্রবল অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।