কলকাতা: পাখির চোখ ২১। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় সাফল্যের লক্ষ্যে অবিচল গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেই কথা মাথায় রেখেই এবার দুর্গা পুজোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়েছে বিজেপি। সেই পুজোর উদ্বোধনও ভার্চুয়ালি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভিডিও বক্তৃতায় বাংলা নস্টালজিয়াকে প্রতিটি লাইনে ছুঁয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।




এবার সেই রেশ রেখেই অষ্টমীতেও বাংলাতে ট্যুইট-শুভেচ্ছা জানালেন তিনি। লিখলেন, 'সকলকে জানাই মহাঅষ্টমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা। মা দুর্গার আশীর্বাদে সমগ্র দেশবাসীর জীবন যেন সুখে শান্তিতে, স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ থাকে এই কামনা করি।'
এর আগে ষষ্ঠীর শুভেচ্ছাও তিনি জানিয়েছিলেন বাংলাতেই।



কলকাতায় ইজেডসিসি-র পুজোর ভার্চুয়াল-উদ্বোধন করে মোদি বলেন, 'দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা। কালীপুজো, দীপাবলিও আসন্ন। আপনাদের সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। '
এইভাবেই মহাষষ্ঠীর দুপুরে ভার্চুয়াল উদ্বোধনে বাংলায় ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদির পুজো উদ্বোধনী ভাষণে উঠে আসে ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র থেকে বাবা লোকনাথ সকলের নাম। কথায় কথায় বাংলার নস্টালজিয়া উত্তম-সুচিত্রাকেও ছুঁয়ে যান মোদি। বলতে গেলে স্বাধীনতা পূর্ব থেকে উত্তরকাল, বাংলার গর্বের সব বিষয়কেই ধরতে চান এদিনের বক্তৃতায়। রাজনৈতিক মহলে যে জল্পনা, ২১ র নির্বাচনের আগে জনসংযোগের উদ্দেশেই বিজেপির এই দুর্গাপুজো, তাতেই কিছুটা সিলমোহর দেন মোদি। তিনি যে বাংলার সেন্টিমেন্ট নিয়ে রীতিমতো চর্চা করেছেন, তা ধরা পড়ে বক্তৃতায়। বলেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও রাজা রামমোহন রায়ের নাম নিলেই অন্তরে বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি হয়।