রিয়াধ: দু’দিনের সফরে সৌদি আরবে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল রাতে রাজা খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। সৌদি আরবের রাজার আমন্ত্রণে সেদেশে গিয়েছেন মোদি। এই সফরে তাঁর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে। আজ সৌদি আরবের রাজা সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন মোদি। এছাড়া বাণিজ্য সম্মেলনেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
সৌদি আরবের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি বলেছেন, ‘সৌদি আরব থেকে ১৮ শতাংশ তেল আমদানি করে ভারত। সৌদি আরবই ভারতের তেল আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম সূত্র। কৌশলগত বোঝাপড়া বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। ভারতের পশ্চিম উপকূলে তৈল শোধনাগার ও পেট্রোকেমিক্যাল প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে সৌদি অ্যারামকো। ভারতের কৌশলগত পেট্রোলিয়াম ভাণ্ডারে অ্যারামকোর সহযোগিতার আশা করছি আমরা। অসাম্য দূর করা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে জি-২০ তে একসঙ্গে কাজ করছে ভারত ও সৌদি আরব। আগামী বছর সৌদি আরবে হবে জি-২০ সম্মেলন। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫-তম বর্ষপূর্তিতে ২০২২ সালে ভারতে জি-২০ সম্মেলন হবে।’
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সৌদি সফরে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। এর আগে, ২০১৬ সালে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার তাঁকে সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রদান করেছিলেন রাজা। এরপর, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে এসেছিলেন যুবরাজ। সেই সময়ই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেকটা উন্নতি হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ইরাকের পরই সৌদির থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি করে ভারত। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ভারত মোট ২০৭.৩ মিলিয়ন টন তেল আমদানি করেছে। এর মধ্যে ৪০.৩৩ মিলিয়ন টন সৌদির থেকে কেনা হয়েছে। অর্থাৎ আনুমানিক ১৮ শতাংশ।
এর পাশাপাশি, গত কয়েক বছর ধরে ভারত ও সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যের মূল্যের পরিমাণ ছিল প্রায় সাড়ে ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার জেরে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী হিসেবে উঠে আসে সৌদি।
তমাসে সৌদি প্রশাসন জানিয়েছিল, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে তারা ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭২ লক্ষ কোটি টাকা) ছোঁয়া। এর জন্য জ্বালানি, তেল শোধন, পেট্রোকেমিক্যাল, পরিকাঠামো, কৃষি, খনন ও খনিজ পদার্থ ক্ষেত্রে ভারতে তারা বিনিয়োগ করতে চলেছে।