হায়দরাবাদ: চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে হায়দরাবাদ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অপরাধীদের যত দ্রুত সম্ভব ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে। প্রতিবাদীদের ওপর লাঠিও চালিয়েছে পুলিশ।


২৫ বছরের এক পশু চিকিৎসকের গণ ধর্ষণ ও নির্মম খুনের জেরে স্তব্ধ গোটা দেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ চলছে, অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি চাইছেন মানুষ। হায়দরাবাদের মানুষ পথে নেমেছেন, এঁদের মধ্যে রয়েছেন মৃতার আপনজন ও প্রতিবেশীরা। বেশ কয়েকটি মহিলা সংগঠন শাদনগর এলাকায় মোমবাতি মিছিলের ডাক দিয়েছে, তাদের দাবি, অপরাধীদের আদালতে নিয়ে যাওয়া চলবে না। আইনি পথে না গিয়ে প্রথমেই ফাঁসি দিতে হবে তাদের।

ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ কমেনি, বরং দিল্লির সংসদ ভবনের বাইরের রাস্তায় এক তরুণী ধর্নায় বসেন। তাঁর নাম অনু দুবে, দিল্লি পুলিশ আটক করেছে তাঁকে। থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়েছে ৪-৫ ঘণ্টা। আর বিক্ষোভ না দেখানোর শর্তে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও অনু থানার বাইরে এসে বলেছেন, মহিলা পুলিশকর্মীরা তাঁর গায়ে নখ ফুটিয়েছেন, মারধর করেছেন। হাতের তালুতে আঘাতের দাগও দেখিয়েছেন তিনি।



অনুর বক্তব্য, তিনি ধর্নায় বসেছেন, কারণ তিনি হায়দরাবাদের তরুণীর মত আগুনে পুড়ে মরতে চান না। প্রতি ২০ মিনিটে কোনও না কোনও মেয়ের ধর্ষণ হচ্ছে। এভাবে বারবার ধর্ষণের ঘটনা আর সহ্য করতে পারছেন না তিনি, রাতের পর রাত ঘুমোতে পারেন না। দিল্লি পুলিশ তাঁকে যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসার জন্য বলেছে।