প্রসঙ্গত, হালিশহরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেল থেকেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। হালিশহরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শাসক দল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দায় চাপানো হয়েছে বিজেপির অন্তর্কলহের দিকে।
বিজেপির তরফে বলা হচ্ছে, তাদের গৃহ সম্পর্ক অভিযান চলাকালীন পিটিয়ে খুন করা হয় দলীয় কর্মীকে। বিকেল ৫টা থেকে ৫.৩০টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
বিজেপির অভিযোগ, তারা এদিন এলাকায় গৃহ সম্পর্ক অভিযান চালাচ্ছিল। সেই সময়ই স্থানীয় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠরা হামলা চালায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি হালিশহর পুরসভার কর্মী ছিলেন। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিংহ। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি তৃণমূল। রাজনৈতিকভাবে না পেরে উঠেই এভাবে আক্রমণ করছে।”
তার পরেই রাতে অর্জুন সিংহের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি চালানো হয়। আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে তল্লাশি করে পুলিশ। যদিও পুলিশকে অর্জুন সিংহের বাড়িতে ঢুকতে ‘বাধা’ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অর্জুন বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের আশঙ্কায় বারণ করা হয়েছিল।” রাত ১০টা নাগাদ অর্জুনের বাড়িতে ঢোকে পুলিশ।