বিজেপির তরফে বলা হচ্ছে, তাদের গৃহ সম্পর্ক অভিযান চলাকালীন পিটিয়ে খুন করা হয় দলীয় কর্মীকে। বিকেল ৫টা থেকে ৫.৩০টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
বিজেপির অভিযোগ, তারা এদিন এলাকায় গৃহ সম্পর্ক অভিযান চালাচ্ছিল। সেই সময়ই স্থানীয় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠরা হামলা চালায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি হালিশহর পুরসভার কর্মী ছিলেন। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের দিকে রওনা হয়ে গিয়েছেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিংহ। তিনি বলছেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি তৃণমূল। রাজনৈতিকভাবে না পেরে উঠেই এভাবে আক্রমণ করছে। তবে এভাবে মানুষকে আটকে রাখা যাবে না।”
যদিও তৃণমূলের তরফে সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের তরফে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের কোন্দলের জন্যই এই খুন। আবার হালিশহরের তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেছেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। তবে এতে রাজনীতির রং লাগানো ঠিক নয়। পুরনো আক্রোশের জেরে খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ তদন্ত করছে। সত্য উদঘাটন হবে।”
ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকায় চরম উত্তেজনা। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। বীজপুর থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে। নতুন করে যাতে অশান্তি আঁচ ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিয়ে তৎপর পুলিশ ও প্রশাসন। যদিও পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হওয়ার লক্ষণ এখনও পর্যন্ত নেই বলেই খবর।