নয়াদিল্লি: লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৪৩ থেকে বাড়িয়ে ১,০০০ করার পক্ষে মতপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা বাড়ানোরও প্রস্তাব দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি মোদি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেই যা খুশি করা যায় না। তাঁর দাবি, ভারতের রাজনীতিবিদরা কোনওদিনই ভোটারদের বার্তা ঠিকমতো বুঝতে পারেননি।


অটলবিহারী বাজপেয়ী স্মৃতি বক্তৃতায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভারতীয়রা বেশিদিন ধর্মান্ধতা ও ভেদাভেদ সহ্য করতে পারেন না। আমাদের দেশের আয়তন ১২,৬৯,২১৯ বর্গমাইল। আমাদের দেশে সাতটি প্রধান ধর্ম রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ ১২২টি ভাষা ও ১,৬০০ উপভাষায় কথা বলেন। ভারতীয় সংবিধানে এর বর্ণনা রয়েছে। অটলবিহারী বাজপেয়ী এই বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নিয়েছিলেন। সবাই তাঁর আদর্শের সঙ্গে একতম না হলেও তিনি সবার কথা ভেবে কাজ করতেন এবং সবাইকে নিয়ে চলতেন।’

প্রণব আরও বলেছেন, ‘আমাদের মনে হয়, আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেই যা খুশি করা যায়। কিন্তু সেটা একেবারেই নয়। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলে স্থায়ী সরকার গঠন করা যায়। জনপ্রিয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাব সংখ্যাগরিষ্ঠতার শাসন চালানো থেকে সরকারকে বিরত রাখে। এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের বার্তা ও সারমর্ম। ১৯৫২ সাল থেকে ভারতের মানুষ বিভিন্ন দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন দিয়ে সরকার গড়ার অধিকার দিলেও, কোনও দলই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে।’