নয়াদিল্লি: পঞ্জাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কার গাঁধীর বৈঠক হল। পঞ্জাবের ভোটের আগে পিকের সঙ্গে রাহুলের এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাহুলের বাড়িতেই পিকের সঙ্গে বৈঠকে প্রিয়ঙ্কা, কেসি বেনুগোপালের মতো কংগ্রেস নেতারা। রাহুল-প্রিয়ঙ্কা-পিকের বৈঠকে ছিলেন পঞ্জাবে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াতও।
জল্পনা চলছে যে, রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকে পঞ্জাবের আসন্ন ভোট নিয়ে আলোচনা করছেন প্রশান্ত কিশোর। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ প্রশান্ত কিশোরকে তাঁর প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। এরপর পিকে বিধায়ক ও দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ভোটমুখী পঞ্জাবে অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের অন্দরে। দলের অন্দরের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই নভজ্যোত সিংহ সিধু মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন বিষয়ে সরব হয়েছিলেন। তিনি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই প্রশান্ত কিশোর তিন বার এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। পাওয়ারের সঙ্গে পিকে-র এই বৈঠক বিজেপির বিরুদ্ধে তৃতীয় মোর্চা গড়ে তোলার জন্য মঞ্চ তৈরির প্রচেষ্টা বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল।
পিকে পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুতে যথাক্রমে তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে-জোটের জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। এর আগে অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও দিল্লিতে আম আদমি পার্টির ভোট সংক্রান্ত রণকৌশল রচনার কাজে ভূমিকা নিয়েছিলেন পিকে।
প্রায় পাঁচ বছর পর প্রশান্ত কিশোর রাহুল গাঁধীর বাসভবনে গেলেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। ২০১৭-তে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের পর কংগ্রেসের সঙ্গে পিকে-র সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে আর কখনও কাজ না করার কথাও পিকে বলেছিলেন বলে শোনা যায়। যদিও প্রশান্তর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা বরাবরই যোগাযোগ বজার রাখতেন।
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের হঠাৎ সাক্ষাৎ ঘিরে স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়ে গেছে নানা গুঞ্জন।বাংলায় তৃতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর, এখন বিজেপি বিরোধীদের কার্যত নয়নের মণি প্রশান্ত কিশোর।এই প্রেক্ষাপটে কি মঙ্গলবারের বৈঠকে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট গড়া নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে?এই বৈঠকের মাধ্যমেই কি তৈরি হবে নতুন সমীকরণ?অনেক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিলেও, রাহুল-প্রশান্ত সাক্ষাৎকে নিছক সৌজন্য বলেই দাবি করছে কংগ্রেস।