শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া যুবকদের অভিভাবকদের বার্তা সেনাবাহিনীর। মঙ্গলবার শ্রীনগরে সেনা সদর দপ্তরে ভারতীয় সেনাবাহিনী, কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তারা কাশ্মীরী মায়েদের আবেদন করেছে, অস্ত্র তুলে নেওয়ার পরিণতি সম্পর্কে তাঁরা যেন ছেলেদের সতর্ক, সাবধান করে দেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সাম্প্রতিক পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা জঙ্গি দমন অভিযানের ব্যাপারে জানায় তারা।
সেনার চিনার কোরের কোর কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ধিলন কাশ্মীরী যুবকদের মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাঁদের ছেলেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে, তাঁদের আবেদন করছি, ওদের বলুন ধরা দিতে, নয়তো ওদের মেরে ফেলবে, খতম করে দেবে বাহিনী। একটানা ১৬-১৭ ঘন্টা এনকাউন্টারের পর গতকাল সেনার হাতে তিন জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি খতম হওয়ার পরদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন কঠোর অবস্থান জানিয়ে দিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষকর্তারা।




প্রসঙ্গত, জয়েশই পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদী হামলার দায় স্বীকার করেছে। আজ সাংবাদিক বৈঠকে ধিলন জয়েশকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সন্তান বলে উল্লেখ করেন। জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারির আইইডি বিস্ফোরণে জখম নিরাপত্তা জওয়ানরা সেরা হাসপাতালে সবচেয়ে ভাল চিকিত্সা পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, গতকালের অভিযানে নিহত ও ১৪ ফেব্রুয়ারির হামলায় প্রাণ হারানো জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
গতকালের অভিযান সম্পর্কে তাঁর দাবি, সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসবাদী মডিউলের বিরুদ্ধে অভিযান চলে এবং পুলওয়ামার ভয়াবহ হামলার ১০০ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে গোটা জয়েশ নেতৃত্বকেই নিকেশ করা হয়েছে।




কেন এত দীর্ঘ সময় ধরে অভিযান চলেছে, জানতে চাওয়া হলে তিনি ব্যাখ্যা দেন, এনকাউন্টারে একজনও সাধারণ নাগরিকের গায়ে একটি আঁচড়ও লাগবে না, সেটা সুনিশ্চিত করতে হয়েছে, সেজন্যই এত লম্বা সময় লেগেছে।
পুলওয়ামায় যে ধরনের গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, তা কাশ্মীরে বহুদিন বাদে হল, এমন হামলার মোকাবিলায় যাবতীয় পথ আমরা খোলা রাখছি বলে জানান সেনাকর্তাটি।