শ্রীনগর: স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কাশ্মীরে ভয়াবহতম জঙ্গি হামলার পর এনআইএ, এনএসজি ও সিএফএসএল-এর বিশেষ দল আজ ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। সকাল সোয়া নটায় শুরু হয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ঠিক হয়েছে, পাকিস্তানকে কঠোরতম ভাষায় জবাব দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বেলা ১১টা নাগাদ শ্রীনগর যাচ্ছেন।

ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, বিদেশ মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী। যোগ দিয়েছেন সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও বৈঠকে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এত বড় হামলার পরেও চিন কোনও প্রতিক্রিয়া না জানানোয় দিল্লি ক্ষুব্ধ। তাদের প্রশ্ন, জৈশ ই মহম্মদ পান্ডা মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করতে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে বাধা দিচ্ছে চিন, সে কারণেই এই নীরবতা কিনা। তবে ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকের আগে বড় খবর, ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ করতে যাচ্ছে। যদিও তা ঠিক কী, এখনও স্পষ্ট নয়।

জৈশ ই মহম্মদের যে আত্মঘাতী জঙ্গি গতকালের হামলা চালিয়েছে সেই আদিল আহমেদ দার ঘটনাস্থল থেকে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে থাকত। তাকে এ জন্যই এই হামলার জন্য বাছা হয়, কারণ ঘটনাস্থল সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য নখদর্পণে ছিল তার। জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেছেন, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের তাঁরা ভরসা দিচ্ছেন. ভারতীয় সেনা যথেষ্ট সক্ষম, তাদের মনোবলে আঘাত হানা যায়নি। এই হামলার মুখের মত জবাব দেওয়া হবে। কাশ্মীরের মানুষদের তাদের চিনতে হবে, যারা সিআরপিএফ জওয়ানদের কাছ থেকেই নিরাপত্তা নেয় আবার তাঁদের বিরুদ্ধেই বিষ ওগরায়।

কার্যত গোয়েন্দা ব্যর্থতাকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেছেন, ২৫০০ জওয়ানকে এক সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি, যে সব জায়গায় আইইডি বিস্ফোরণের আশঙ্কা থাকে, সেখানে গাড়ি দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যায়। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা সর্বত্র রয়েছে, রাজনীতিতেও ওদের লোক রয়েছে। তারা জঙ্গিদের খতম হওয়ার আগেই কান্নাকাটি করতে তাদের বাড়ি পৌঁছে যায়। জওয়ানদের পুরো স্বাধীনতা রয়েছে, তাঁরা এর বদলা নেবেন।