এদিন অমেঠি পৌঁছে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল। এই বৈঠকের পর উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি আশরফ জয়সি জানিয়েছেন, ‘বৈঠকে রাহুল বলেছেন, আমি অমেঠি ছেড়ে যাব না। এটা আমার বাড়ি ও পরিবার। অমেঠির উন্নয়ন ব্যাহত হবে না। আমি এখন ওয়ানাডের সাংসদ। কিন্তু অমেঠির সঙ্গে আমার সম্পর্ক তিন দশকের পুরনো। আমি অমেঠির জন্য দিল্লিতে লড়াই করব।’
জেলা কংগ্রেস কমিটির সদস্য নরেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের তারিফ করেছেন রাহুল। তবে তাঁর মতে, স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব তৈরি হয়। এর ফলেই তিনি হেরে গিয়েছেন। রাহুলের সামনেই বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মী দাবি করেন, গোটা জেলায় দল দুর্বল। প্রচারও ঠিকমতো হয়নি। দলের কয়েকজন বিজেপি-কে সাহায্য করেছেন বলেও অভিযোগ করেন কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁরা রাহুলকে দলীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা প্রত্যাহারেরও আর্জি জানান।
অন্যদিকে, এদিন রাহুল অমেঠি যাওয়ার আগে তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস দফতরের বাইরে একটি পোস্টার পড়ে। সঞ্জয় গাঁধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট পরিচালিত একটি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে রাহুলের জবাব চাওয়া হয় ওই পোস্টারে। রাহুল ওই ট্রাস্টের সদস্য। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে ওই পোস্টারে কোনও প্রকাশকের নাম ছিল না। যদিও কংগ্রেসের দাবি, এটি বিজেপি-র চক্রান্ত।