নয়াদিল্লি: বিজয় মাল্যকে নিয়ে অরুণ জেটলির অস্বীকার উড়িয়ে রাহুল গাঁধীর দাবি, উনি মিথ্যা বলছেন। গতকাল লন্ডনে মাল্য দাবি করেন, ভারত ছাড়ার আগে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বকেয়া ব্যাঙ্কঋণ নিয়ে আপস প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মাল্যের দাবি ফেসবুক ব্লগে উড়িয়ে দিয়ে জেটলি বলেন, উনি মিথ্যা বলেছেন। গত ৪-৫ বছর ওঁর সঙ্গে বৈঠক দূরের কথা, সাক্ষাতের সময়ই দিইনি। আজ রাহুল জেটলির বক্তব্য খারিজ করেছেন।
পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়া বোমা ফাটিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুলের পাশে বসে তিনি দাবি করেন, ২০১৬-র বাজেট অধিবেশনেই সংসদে বৈঠক হয়েছিল জেটলি, মাল্যের। তিনি সেই বৈঠকের সাক্ষী। ১৫-২০ মিনিট হয়েছিল দুজনের কথা।
কংগ্রেস সভাপতি জেটলিকে একজন ‘অপরাধী’র সঙ্গে হাত মেলানোয় অভিযুক্ত করে বলেন, লিকার ব্যারনের দেশ থেকে পালানোর প্ল্যানের কথা জানা সত্ত্বেও তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে উনি কেন জানাননি? কেন সিবিআই, ইডি-কে খবর দেননি?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেও রাহুল প্রশ্ন করেন, মাল্যকে কেন পালিয়ে যেতে দিলেন জেটলি নাকি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল? রাহুল বলেন, এটা রফা-বোঝাপড়ার স্পষ্ট নমুনা। নিশ্চয়ই কোনও ডিল হয়েছিল জেটলি, মাল্যের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেশবাসীকে জানান, কী কথা হয়েছিল, ইস্তফা দিন। এর তদন্ত হওয়া উচিত।
পুনিয়া দাবি করেন, ২০১৬-র ১ মার্চ তিনি সংসদের সেন্ট্রাল হলে ছিলেন, সেখানেই জেটল, মাল্যকে আলোচনায় নিমগ্ন থাকতে দেখেছেন। ৩ মার্চ মিডিয়ার মাধ্যমে শুনতে পাই মাল্য পালিয়েছেন। মিডিয়াকে দেওয়া আমার প্রতিটি সাক্ষাত্কারে কথাটা বলেছি। সিসিটিভি ক্যামেরায় ছবি আছে। সবাই সেই প্রমাণ দেখতে পারি। আমি ভুল প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।