নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে ফিরেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পদক্ষেপ সমর্থন করে একদিকে গোটা দুনিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়েছে, আরেকদিকে একঘরে হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের প্রচারে বললেন অমিত শাহ।
মহারাষ্ট্রে ২১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ, গণনা ২৪ অক্টোবর।
মোদি সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় কংগ্রেস, এনসিপি-রও তীব্র সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি। বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রস্তাব সামনে আনতেই কংগ্রেস, এনসিপি-উভয়েই তার বিরোধিতা করে কার্যত বিদ্রোহ করে। আমি চাই, রাহুল গাঁধী ও শরদ পওয়ার মহারাষ্ট্রের মানুষকে বলুন, কেন তাঁরা ৩৭০ বাতিলের বিরোধী। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিই তাঁদের বিরোধিতার কারণ বলে দাবি করে তিনি বলেন, রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, কাশ্মীরে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে, কিন্তু একটা বুলেটেও ছুঁড়তে হয়নি। সাঙ্গলি জেলার জাট এলাকার জনসভায় তিনি আরও বলেন, ১৯৭১-এ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের বিজয়ের সময় তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীকে প্রথম অভিনন্দন জানিয়েছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। আমরা তখন বিরোধী আসনে ছিলাম, কিন্তু আমাদের কাছে সবার আগে দেশ। মনমোহন সিংহের জমানায় পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদীরা নিয়মিত সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে আমাদের সেনা জওয়ানদের হত্যা করত বলে অভিযোগ করে অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিন্তু দেশকে সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তাঁর তদারকিতে ভারতের জাতীয় সুরক্ষা জোরদার হয়েছে, এখন গোটা বিশ্ব জানে, একটা ভারতীয় জওয়ান শহিদ হলে পাল্টা ১০টা শত্রু খতম হবে। পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযানের উল্লেখ করেই সম্ভবত একথা বলেন তিনি।