নয়াদিল্লি ও ভূবনেশ্বর: ক্ষমতায় এলে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করবেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন রাহুল গাঁধী। একইসঙ্গে, উত্তরপ্রদেশে কাশ্মীরি ফল-বিক্রেতাদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন।
রাহুল জানান, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর ও ২১০৮ সালের জুলাই মাসের মধ্যে তিনি এবং ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে দ্রুত মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করানোর আর্জি জানান। একইসঙ্গে আশ্বাস দেন, এই ইস্যুতে তাঁরা নিঃশর্ত সমর্থন দেবেন। কংগ্রেস সভাপতি বলেন, আমি দেশবাসীর কাছে প্রতিজ্ঞা করছি, আমরা সরকার গঠন করলে এই বিল পাশ করাব-ই।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে এদিন মহিলাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাহুল। বলেন, মহিলাদের অদম্য লড়াই করার মানসিকতাকে কুর্ণিশ জানাচ্ছি। মহিলাদের স্বাধীনতা ও সমতা লাভের পথে বাধাকে ভেঙে দিতে আমরা নিজেরা অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছি। তিনি যোগ করেন, একবার সেই বাধা সরে গেলে, আরও উজ্জ্বল, সাহসী ও ভাল ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।





ওড়িশার কোরাপুট জেলায় একটি আলোচনা সভায় মহিলাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। সেখানে তিনি জানান, ওড়িশায় কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মহিলাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য বাজেট বাড়ানো হবে। মহিলারা নিখরচায় শিক্ষালাভ করতে পারবেন। তা সে ইঞ্জিনিয়ারিং হোক বা মেডিক্যাল অথবা অন্য কোনও ক্ষেত্র। রাহুল বলেন, দেশের বিধানসভাগুলিতে এবং লোকসভায় মহিলাদের সংরক্ষণ নিশ্চিত করা আবশ্যিক হয়ে পড়েছে। কংগ্রেস তা পালন করতে উদ্যোগী। তাঁর মতে, পঞ্চায়েত স্তরে সংরক্ষণের ফলে মহিলাদের প্রভূত লাভ হয়েছে। রাহুলের অভিযোগ, ওড়িশায় মহিলা মন্ত্রীর সংখ্যা অত্যাধিক মাত্রায় কম।
ওই আলোচনাসভায় রাহুল বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মহিলাদের বিরুদ্ধে নৃশংতার ঘটনায় অভিযুক্তদের সামান্যতম রেয়াত করা হবে না। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, বুধবার লখনউতে ২ কাশ্মীরি ফল-বিক্রেতার ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন রাহুল। ঘটনার ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, একদিকে এই হামলার ঘটনায় আমি মর্মাহত। অন্যদিকে, যাঁরা তাঁদের উদ্ধার করেন, তাঁদের সাহসিকতায় আমি মুগ্ধ। রাহুল যোগ করেন, দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে আসা যে কোনও নাগরিকের জন্য ভারত। কাশ্মীরি ভাইবোনদের বিরুদ্ধে সবরকম হামলার তীব্র নিন্দা করছি।