শহরতলির অঞ্চল থেকে হাওড়া ও শিয়ালদা শাখায় ট্রেন চালাতে স্বাস্থ্যবিধির বন্দোবস্ত করে কীভাবে ও কতগুলি ট্রেন চালানো যাবে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রেলের কাছে বক্তব্য রাখা হয়।
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে খুব শীঘ্রই চালু করা হবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ৫ নভেম্বরের বৈঠকে ছিলেন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গেছে, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর প্রস্তাব রেলের। একটি ট্রেনে ১২০০-র বদলে ৬০০ যাত্রীর ভাবনা।
মেট্রোর মতো লোকালেও ই-পাস চালুর ভাবনা।
কোন স্টেশন কোন ট্রেন দাঁড়াবে, তা নিয়েও আগামী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন দিয়ে শুরুর পক্ষপাতী রেল। পরে তা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ লোকাল চালানোর প্রস্তাব।
বৈঠকে ছিলেন পূর্ব রেলের এজিএম, হাওড়া-শিয়ালদার ডিআরএম। রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে নবান্নে খড়গপুরের ডিআরএম সহ পদস্থ আধিকারিকরা।
এরইমধ্যে স্পেশাল ট্রেনে উঠতে চেয়ে বৈদ্যবাটিতে টানা অবরোধ। নিত্যযাত্রীদের বিক্ষোভ, ১০ ঘণ্টা ধরে জিটি রোধ অবরোধ। অবরোধ হঠাতে নামল প্রচুর পুলিশ।
রাজ্যে রেল চালানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ নবান্নে বৈঠকের আগেই রাজ্যকে চিঠি দেয় পূর্ব রেল। চিঠিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লোকাল চালাতে প্রস্তুত রেল। তাদের দাবি, আগে এ নিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। পূর্ব রেলের তরফে অনুরোধ করা হয়, নবান্নের বৈঠকে যেন রাজ্যের পুলিশ প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকেন। বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে থাকতে অনুরোধ করা হয়। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে রেল যাত্রীর সংখ্যা যত, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার থেকে অনেক কম সংখ্যকই যাতায়াত করতে পারবেন। গত শনিবার স্পেশ্যাল ট্রেনে ওঠার জন্য সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে যে হুড়োহুড়ি দেখা গিয়েছে,তাতে লোকাল চালুর আগে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।
লোকাল ট্রেন চালু নিয়ে রেল-রাজ্য বৈঠকের দিনই যাত্রী বিক্ষোভ হুগলির বিভিন্ন স্টেশনে। স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দিতে হবে, এই দাবিতে আজ সকাল ৮টা নাগাদ বৈদ্যবাটিতে রেল অবরোধ করেন যাত্রীরা। পাশাপাশি, বৈদ্যবাটি স্টেশনের কাছে রাস্তাও অবরোধ করা হয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবরোধের জেরে আটকে রয়েছে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। শুধু বৈদ্যবাটিতেই নয়, একই দাবিতে রিষড়া ও শেওড়াফুলিতেও শুরু হয় অবরোধ।
- রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য চাইছে, শুধু অফিস টাইমে লোকাল ট্রেন চলুক। সেক্ষেত্রে ক’টি ট্রেন, কোন কোন রুটে সকালে ও বিকেলে চলবে, তা নিয়ে কথা হবে।
- যে সব ট্রেন চলবে সেগুলি সব স্টেশনে দাঁড়াবে কি না?
- কারা ট্রেনে উঠবেন? মেট্রোতে যেমন ই-পাস ছাড়া ওঠা যায় না ট্রেনে। মুম্বইয়ে লোকাল ট্রেনে পেশা ভিত্তিক পাস দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কী হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
- কীভাবে লোকাল ট্রেনের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে? আরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশ কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবে?
- লোকাল ট্রেনের অতগুলি দরজা নিয়ন্ত্রণ করা সমস্যার। তা নিয়ে কী করা হবে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা।