সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতাসীন দলকে পাল্টে দেয় রাজস্থানবাসী। এবারও কি সেই সম্ভাবনা? গত পাঁচ বছর রাজস্থানের ক্ষমতায় বিজেপি। এবার কি কংগ্রেস পারবে মরূ রাজ্য পুর্নদখল করতে? এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের যৌথ সমীক্ষায় কিন্তু বিজেপির রাজস্থান হাতছাড়া হওয়ার জোরালো ইঙ্গিত। সমীক্ষা অনুযায়ী
এখনই বিধানসভা ভোট হলে বিজেপি রাজস্থানে পেতে পারে ৩৭ শতাংশ ভোট। উল্টোদিকে ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে হঠিয়ে কংগ্রেস পেতে পারে ৫১ শতাংশ ভোট।
অন্যান্য দলের ঝুলিতে যেতে পারে ১২ শতাংশ ভোট।
বর্তমানে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। এবারও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তিনি। উল্টোদিকে কংগ্রেস কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রজেক্ট না করলেও, কংগ্রেস জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রধান দুই দাবিদার হলেন, বর্তমানে রাজস্থান কংগ্রেসের সভাপতি সচিন পায়লট এবং রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাহুল গাঁধীর অন্যতম প্রধান সেনাপতি বর্ষীয়ান নেতা অশোক গহলৌত।
সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রথম পছন্দ কে?
- ২৬ শতাংশের প্রথম পছন্দ বসুন্ধরা রাজে।
- জনপ্রিয়তায় বসুন্ধরাকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন কংগ্রেসের তরুণ মুখ সচিন পায়লট। ৩৫ শতাংশ মানুষ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান।
- কংগ্রেসের বাকি নেতাদের মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান ২৩ শতাংশ।
- অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী পদে কংগ্রেস নেতাদের জনপ্রিয়তাকে যুক্ত করলে তা দাঁড়ায় ৫৮ শতাংশ।
অর্থাৎ বিধানসভা ভোটে রাজস্থান বিজেপির উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু, এখনই যদি লোকসভা ভোট হয়, তাহলে কি রাজস্থানবাসী একইপথে হাঁটবে? না কি অন্য পথে? এবিপি আনন্দ-সি ভোটারের যৌথ সমীক্ষা অনুযায়ী
- এখন লোকসভা নির্বাচন হলে ৪৭ শতাংশ রাজস্থানবাসী বিজেপিকে ভোট দেবেন।
- কংগ্রেস কিছুটা পিছিয়ে ৪৩%।
- অন্যান্য দলের ঝুলিতে যেতে পারে ১০% ভোট।
অর্থাৎ বিধানসভা ভোটে পিছিয়ে থাকলেও, লোকসভায় কিন্তু এখনও বিজেপির এগিয়ে থাকার ইঙ্গিত স্পষ্ট। সমীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী পদে রাজস্থানবাসীর পছন্দ কে?
প্রায় ৬০ শতাংশ রাজস্থানবাসীর প্রধানমন্ত্রী পদে পছন্দ নরেন্দ্র মোদিকে।
রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান ২৩ শতাংশ।
বাকি কংগ্রেস নেতাদের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান মাত্র ৬ শতাংশ রাজস্থানবাসী।
অর্থাৎ সব কংগ্রেস নেতাদের জনপ্রিয়তা যুক্ত করলেও, দাঁড়ায় মাত্র ২৯ শতাংশ। যা মোদির তুলনায় ঢের কম।