নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন কয়েকদিন আগে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।  একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হলেন কংগ্রেস নেতা তথা দলের রাজ্যসভা সাংসদ রাজীব সাতভ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ৪৬ বছরের সাতভকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাতভের করোনা টেস্ট রিপোর্ট গত ২২ এপ্রিল পজিটিভ এসেছিল। গত ৯ মে তাঁর টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
পরে তাঁর একটি নতুন ভাইরাল সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। 


সাতভের এই আকস্মিক মৃত্যু দলের পক্ষে একটা বড়সড় ধাক্কা। কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা সাতভের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। 
রাহুল গাঁধীর ট্যুইট-আমার বন্ধু রাজীব সাতভের প্রয়াণে মর্মাহত। তিনি ছিলেন দক্ষ নেতা, যিনি কংগ্রেসের আদর্শের প্রকৃত রূপায়ণ করেছেন। তাঁর মৃত্যু আমাদের সকলের পক্ষে বড় ক্ষতি। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা ও ভালোবাসা।


কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী সাতভের অকাল প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন। তাঁর ট্যুইট, রাজীব সাতভের প্রয়াণে আমরা আমাদের উজ্জ্বলতম সহকর্মীকে হারালাম।  মনের দিক থেকে অত্যন্ত স্বচ্ছ্ব, দায়িত্ববান ও কংগ্রেসের আদর্শের প্রতি গভীর নিষ্ঠাবান ছিলেন। দেশের মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করছিলেন। আমি বাক্যহারা। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতি আমার সমবেদনা। 
শোকপ্রকাশ করেছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা।


সুরজেওয়ালার ট্যুইট, আজ এমন এক সঙ্গীকে হারালাম, যাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক জগতে একসঙ্গে পদার্পণ করেছিলাম। যুব কংগ্রেসে আমার সঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিলেন। আজ পর্যন্ত পায়ে পা মিলিয়ে হেঁটেছি। আজ..রাজীব সাতভের সরল সাধাসিধে আচরণ, হাসি, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, দলের প্রতি নিষ্ঠা চিরদিন মনে পড়বে। বিদায় বন্ধু।


২০১৪-তে মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলি থেকে লোকসভা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন রাজীব সাতভ। তবে ২০১৯-র নির্বাচনে লড়াই করনেনি। কংগ্রেস থেকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে। প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী রজণী সাতভের ছেলে তিনি। 
রাজীব সাতভ ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও গুজরাতে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা। তিনি এর আগে যুব কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন।