শ্রীনগর: পুলওয়ামার জঙ্গি হানায় নিহত জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধা জানালেন রাজনাথ সিংহ। নিজের কাঁধে এক জওয়ানের কফিনও বইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জঙ্গি-হামলার প্রেক্ষিতে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই দিল্লি থেকে উপত্যকায় পৌঁছন রাজনাথ। সোজা যান সিআরপিএফ-এর ঘাঁটিতে। সেখানে ৪০টি তেরঙা পতাকায় মোড়া কফিনে শায়িত ছিল নিহত জওয়ানদের দেহ। সেখানেই শহিদদের শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ।
পরে, এক জওয়ানের কফিন নিজের কাঁধে তুলে ট্রাক পর্যন্ত বহন করেন রাজনাথ। সেখান থেকে কফিনগুলি শ্রীনগর বিমানবন্দরে চলে যায়। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, বিশেষ বিমানে করে কফিনগুলি রওনা দেয় দিল্লির উদ্দেশে। সেখান থেকে জওয়ানদের দেহ তাঁদের নিজ নিজ শহর-গ্রামে পৌঁছে যাবে, যেখানে তাঁদের শেষকৃত্য হবে।
এদিন রাজনাথের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক, স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গৌবা, সিআরপি ডিজি আর আর ভাটনগর, জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিংহ সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। রাজনাথ বলেন, সিআরপিএফ-এর এই বীর জওয়ানদের আত্মত্যাগ দেশ কখনই ভুলবে না। পুলওয়ামার শহিদদের শেষ শ্রদ্ধা জানালাম। তাঁদের এই বলিদান বিফলে যাবে না।
এদিন শ্রীনগরে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করার কথা রাজনাথের। সেখানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল সহ প্রশাসনিক, সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর পদস্থ কর্তারা।
বৃহস্পতিবার, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরায় সিআরপি-র কনভয়ে বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়ি নিয়ে হামলা চালায় আত্মঘাতী জইশ জঙ্গি। তাতে প্রাণ হারান ৪০ জন জওয়ান। হামলার তীব্র নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, যারা এই ঘৃণ্য হামলা ঘটিয়েছে, তাদের বড় মূল্য চোকাতে হবে।