নয়াদিল্লি: চিন থেকে আমদানি করা করোনা টেস্টিং কিট খারাপ। সেগুলো ব্যবহার করে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেকারণেই মঙ্গলবারই রাজ্যগুলোকে চিনা কিট ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ। আরও একবার চিন থেকে আসা কিটের গুণগত মান পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্ট আসা না পর্যন্ত র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের বদলে পিসিআর (পলিমারেজ চেন রিয়্যাকশন) প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে রোগীর নমুনা পরীক্ষার ৬ ঘণ্টা পর ফল জানা যাচ্ছে। র‌্যাপিড টেস্টের ক্ষেত্রে সেখানে রোগীর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে ফল জানা সম্ভব হয়। তবে চিনের তৈরি খারাপ কিটের কারণে এখনই র‌্যাপিড টেস্ট করতে পারছে না ভারত।


চিনা কিট নিয়ে আইসিএমআরের এই রিপোর্ট পাওয়ার পরই নড়েচরে বসেছে সেদেশের দুই চিকিৎসার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা। গুয়াংঝৌ ওয়ান্ডফো বায়োটেক ও লিভজন ডায়াগনস্টিকস, এই দুই সংস্থাই ভারতে টেস্ট কিট রপ্তানি করেছে। দুই চিনা সংস্থাই জানিয়েছে, ভারতীয় সংস্থাকে সবরকমের সহযোগিতা করতে তারা প্রস্তুত।


৩ লক্ষ টেস্ট কিট পাঠিয়েছে গুয়াংঝৌ ওয়ান্ডফো বায়োটেক। বাকি আড়াই লক্ষ টেস্ট কিট এসেছে লিভজন ডায়াগনস্টিকসের তরফে। এই দুই সংস্থার কিটই ‘ডিফেক্টিভ’। লিভজন ডায়াগনস্টিকস একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমাদের ব্র্যান্ডের তৈরি কোভিড-১৯-এর র‌্যাপিড টেস্ট কিট সম্পর্কে খারাপ রিপোর্ট আসায় আমরা হতবাক। এই বিষয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত এবং সরকারি সংস্থাকে তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করব।”


তারা আরও জানিয়েছে, “২ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে কিট রাখতে হবে। জমাট বাঁধলে চলবে না। আবার তাপমাত্রা বেশি হলেও ফলাফলে তা প্রভাব ফেলতে পারে।”


গুয়াংঝৌ ওয়ান্ডফো বায়োটেক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত ছাড়াও তারা বিশ্বের আরও ৭০টি দেশে টেস্ট কিট সরবরাহ করেছে। ভারতের সর্বোচ্চ মেডিক্যাল সংস্থা আইসিএমআর তাদের কিটকে বৈধতা দিয়েছে বলেও জানিয়েছে ওই সংস্থা। চাইনিজ দূতাবাস মারফৎ এই দুই সংস্থার প্রেস বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে।