শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর গোটা রাজ্যে যেসব বিধিনিষেধ জারি হয়েছিল, তা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হল জম্মু থেকে। তবে কাশ্মীরের কিছু কিছু এলাকায় আরও কিছুদিন তা বহাল থাকবে। বুধবার এ কথা জানালেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা। অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল মুনীর খানের দাবি, রাজ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও কাশ্মীর উপত্যকায় কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তি, হিংসার কথা মেনে নিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, শ্রীনগর ও উপত্যকার অন্য জেলাগুলির বিভিন্ন অংশে স্থানীয় স্তরে কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে সেগুলি সেখানেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কোনও নাগরিকের মৃত্যু যাতে না হয়, সেটা সুনিশ্চিত করাই আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। কারও বড়সড় আঘাত লাগেনি। সামান্য কয়েকজন পেলেটের ঘায়ে জখম হয়েছে। তাদের চিকিত্সাও হয়েছে। জম্মু থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তা কিছুদিন থাকবে কাশ্মীরের কয়েকটি জায়গায়।
কতজনকে আটক করা হয়েছে, প্রশ্ন করা হলে ব্যক্তিদের নিয়ে কিছু বলবেন না বলে জানান তিনি। বলেন, এরকম আইন-শৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতির ক্ষেত্রে নানা ধরনের আটক হয়ে থাকে। দুষ্কৃতীরা শান্তিপূর্ণ আবহাওয়া বিষিয়ে তোলার সুযোগ পাবে না, সুনিশ্চিত করতে আগাম আটক করা হয়। আগেভাগে কিছু পদক্ষেপ করতেই হয়। মিডিয়ার সামনে এসে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রোহিত কানসালও রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ আরও শিথিল করা হয়েছে শ্রীনগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। আজ অপরাহ্ন পর্যন্ত তা চালু থাকবে। গণবন্টন, সরবরাহ, জাতীয় সড়ক, বিমানবন্দর, চিকিত্সা সুবিধা- আর বাকি সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতির ওপর লাগাতার নজর রাখছেন, যেখানে যেখানে প্রয়োজন মনে হয়, সেখানেই নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ আলগা করা হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট বিধিনিষেধ, নিয়ন্ত্রণ চালু হয়। সেদিনই কেন্দ্র জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে গোটা রাজ্যকে জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, এই দুই কেন্দ্রশাসিত এলাকায় বিভাজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।