পটনা: আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ-তে ফের ভাঙনের ইঙ্গিত। বিহারে তাঁদের যে আসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটি সম্মানজনক নয় বলে জানিয়ে এনডিএ ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির (আরএলএসপি) প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহা। এ মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে আসন সমঝোতা না হলে জোটে থাকবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ আরএলএসপি-র রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুশওয়াহা বলেছেন, ‘বিজেপি-র জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে সম্প্রতি আমি দু’বার দেখা করেছি। তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আসনের প্রস্তাব সম্মানজনকও নয়, মানাও যায় না। আমি দু’বার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে করতে চেয়েছি। কিন্তু সেটা এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। যদিও আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে, আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হয়নি।’

আরএলএসপি-কে কতগুলি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কুশওয়াহা কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও, অসমর্থিত সূত্রে খবর, দু’টি আসনের কথা বলা হয়েছে। আরএলএসপি-র এখন তিনজন সাংসদ আছেন। কিন্তু নীতীশ কুমারের জেডিইউ-কে আসন ছাড়ার জন্যই আরএলএসপি-র আসন কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।

এই পরিস্থিতিতে কুশওয়াহা বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমি এনডিএ-তে আছি। আমি এখন আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আর কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব না। আশা করি তিনি বিহারের পরিস্থিতি জানেন। বিহারে এনডিএ-র একটি বড় গোষ্ঠী চায় না নরেন্দ্র মোদী আবার প্রধানমন্ত্রী হোন। এই গোষ্ঠীর বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করে দিতে চাই। বিজেপি প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করার আগে থাকতেই আমি সমর্থন করছি।’

কুশওয়াহা এনডিএ ছাড়ার ইঙ্গিত দেওয়ায় উল্লসিত আরজেডি। আজ আরজেডি মুখপাত্র ভাই বীরেন্দ্র বলেছেন, ‘কুশওয়াহার এনডিএ ছাড়া চূড়ান্ত। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করছেন না কারণ বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে যত অপমানিত হবেন, ততই তিনি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।’ আরএলএসপি যদি আরজেডি-র সঙ্গে জোট করে, তাহলে বেশি আসন ছাড়া হবে বলেও জানিয়েছেন বীরেন্দ্র।