গতকাল সন্ধেয় তিরুপতি মন্দিরে পুজো দেন প্রিয়ঙ্কা ভঢরার স্বামী। পরে ফেসবুকে তিনি লেখেন, দেশ পরিবর্তন চায়, আর সেই পরিবর্তন আসবে। রাহুল এ জন্য অত্যন্ত পরিশ্রম করছেন। দেশের মানুষ অনেক যন্ত্রণা সয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুধু তিরুপতি নয়, গোটা দেশেই তীর্থস্থান দর্শনে বেরিয়েছেন রবার্ট। মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ থাকা এ দেশের পক্ষে সবথেকে জরুরি। তাঁরা মানুষের সঙ্গে আছেন, তাঁদের পাশে থেকেই যথাসাধ্য সংগ্রাম করবেন। প্রিয়ঙ্কা ও তিনি সব সময় রাহুলের পাশে আছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রথমে রবার্ট প্রার্থনা করেন শ্রী পদ্মাবতী আম্মাভারু মন্দিরে, তারপর উঠে যান তিরুমালায়। সেখানে অবশ্য ‘সুপ্রভাতম’ দর্শনের জন্য রাত দুটো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, ঈশ্বরের দর্শন পেয়ে তিনি তৃপ্ত, যে শক্তি তিনি এখান থেকে পেয়েছেন তা নিয়ে যাবেন নিজের পরিবার ও সন্তানদের জন্য, শাশুড়ির জন্য, একই সঙ্গে দেশের মানুষের জন্য, যাতে তাঁরা শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সুখী জীবন পান।
বিজেপি অবশ্য রবার্টের সমালোচনা করে মন্তব্য করেছে, তাঁর মন্তব্য বুঝিয়ে দিচ্ছে, ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে গাঁধী পরিবার। তাদের এখন এমন অবস্থা যে পরিবারের প্রত্যেকে একবার করে এসে সিংহাসন দাবি করছেন। আর অবশেষে এখন রবার্ট ভঢরা দেশবাসীকে উপদেশ দিতে এসেছেন সুশাসন নিয়ে। ভঢরা তাঁর ক্ষমতার অংশ পেতেই পারেন কিন্তু দেশ এই পরিবারকে জানিয়ে দিতে চায়, তারা আর বিশেষ কোনও রাজত্ব বা পরিবারের বশে থাকবে না।