নয়াদিল্লি: তথ্যের অধিকার আইন (আরটিআই) মারফৎ প্রাপ্ত উত্তর সব সময়ই যে নির্ভরযোগ্য হবে, তা নয়।  মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের আরটিআই মারফৎ প্রাপ্ত উত্তরের উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। একটি মামলার শুনানিতে মৌখিক পর্যবেক্ষণে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। 


বিচারপতি এএম খানউইলকার ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি রায়ের বিরুদ্ধে আর্জির শুনানিতে পর্যবেক্ষণে এই মন্তব্য করেছে। 


বিচারপতি এএম খানউইলকার বলেছেন, আরটিআই থেকে প্রাপ্ত উত্তরের উল্লেখ করবেন না। আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, এটা খুব বেশি নির্ভরযোগ্য নয়। অন্য কোনও কর্তৃপক্ষের থেকে যদি আসত, তাহলে উত্তর সম্পূর্ণ ভিন্ন হত।


ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত প্রসঙ্গে এলাহাবাদের হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এই আর্জি দায়ের করা হয়েছে। আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টকে বলেন যে, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া একটি আরটিআই উত্তর তাঁর কাছে রয়েছে। আরটিআই মারফৎ প্রাপ্ত উত্তরে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওই মাস্টার প্ল্যানে ওই জায়গাকে বসবাসের জায়গা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 


যদিও আদালত ওই যুক্তি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। আবেদনকারীরা  আর্জিতে বলেন যে, তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন জায়গায় কর্তৃপক্ষ ভাঙার প্রক্রিয়া চালিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। ওই আর্জিতে বলা হয় যে, গোরক্ষপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাঁদের জমিতে ভাঙার কাজ চালিয়েছে। এই প্রক্রিয়া না বন্ধ করা হলে  মোট ২২ সদস্য সহ ছয়টি পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে। 


আবেদনকারীদের পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়, আরটিআই মারফৎ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট প্লটটিতে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী,  আবাসনের জমি ও ব্লক পার্ক হিসেবে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। 


কিন্তু আদালত আবেদনকারীকে আরটিআই-এর উত্তরের ওপর নির্ভর না করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত পরামর্শ দিয়ে বলে , আরটিআই নথির উল্লেখ করবেন না।  এই মামলায় মৌখিক পর্যবেক্ষণে এমনই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগস্টে।