নয়াদিল্লি: করোনার কোনও ভ্যাকসিনই এখনও বাজারে আসেনি। তবে রাশিয়ার দাবি, করোনা চিকিৎসায় দ্বিতীয় ভ্যাকসিনটিও তাদের হাতের মুঠোয়। যার নাম এপিভ্যাককরোনা। রাশিয়ার দাবি, অক্টোবরেই প্রকাশ্যে আসবে তাদের তৈরি দ্বিতীয় ভ্যাকসিন।


স্পুটনিক ভি প্রকাশ্যে আসার ১ মাস ১৩ দিনের মাথায় সবাইকে অবাক করে রাশিয়া দাবি করল, শীঘ্রই করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন প্রকাশ্যে আনতে চলেছে তারা। বিশ্বজুড়ে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, দৈনিক করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ছে ভারত! ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চারদিকে ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার চলছে। ঠিক সেই সময় রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী তাতিয়ানা গোলিকোভার দাবি, ভেক্টর ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে করোনা প্রতিরোধক এপিভ্যাককরোনা। চলতি মাসেই সাইবেরিয়ায় ওই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রাথমিক ধাপ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। বুধবার রাশিয়ার সংসদে, সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও জানান, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ভ্যাকসিনটি শীঘ্রই নথিভূক্ত করা হবে।

পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে ১৪২টি ভ্যাকসিনের এখনও হিউম্যান ট্রায়াল হয়নি। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল উতরেছে ২৯টি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮টি এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে ৯টি ভ্যাকসিনের। এর মধ্যে যে ক’টি ভ্যাকসিন সবার আগে বাজারে আসতে পারে, তার মধ্যে, সিরাম ইন্সস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন অর্থাৎ কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। আইসিএমআর এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। জাইডাস ক্যাডিলার দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে। আমেরিকার মডার্নার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। আগামী ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে তা বাজারে আসতে পারে। চিনের তৈরি সিনোভ্যাকের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ। জার্মানির ফিজার-বায়োটেকের ভ্যাকসিনেরও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।

শেষপর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন সবার আগে হাতে আসবে - সে অপেক্ষাতেই আছে গোটা বিশ্ব।