নয়াদিল্লি: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর রুপোলি জগতের একাংশ তাঁদের সহকর্মীদের সমালোচনা করেছেন। অভিযোগ, সুশান্ত চলে যাওয়ার পর যাঁরা চোখের জল ফেলছেন, তাঁরা কখনও তাঁর পাশে দাঁড়াননি। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন পরিচালক অভিনব কাশ্যপ। ২০১০-এ সলমন খানের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘দাবাং’-এর পরিচালক ছিলেন অভিনব। কিন্তু পরে এই সিনেমার সিকোয়েলে তাঁকে আর রাখা হয়নি। অভিনবের দাবি, সলমনের ভাই আরবাজ ও সোহেল খান ধমকে-চমকে তাঁর কেরিয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলেন। তিনি মানতে না চাওয়ায় অন্তর্ঘাত করে তাঁর কেরিয়ার খতম করার চেষ্টা করেন খান ভাইয়েরা। এমনটাই দাবি অভিনবের।
অভিনবের অভিযোগ, ২০১৩-তে তাঁর ‘বেশরম’ ছবির মুক্তিতে অন্তর্ঘাত করেছিলেন সলমন ও তাঁর পরিবার। বলিউডে এটাই ছিল অভিনবের শেষ সিনেমা। পোস্টে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর বিস্তারিত তদন্ত দাবি করেছেন অভিনব।
তিনি লিখেছেন, আমি জানি, আমার শত্রু কারা। স্পষ্ট জানাতে চাই, তাঁরা হলেন, সেলিম খান, সলমন খান, আরবাজ খান ও সোহেল খান।
তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। অভিনব বলিউডে ট্যালেন্ট ম্যানেজার ও প্রোডাকশন হাউসগুলির কৌশলের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। লিখেছেন, এইসব লোকজন কারও কেরিয়ার তৈরি করে  না, অন্যের কেরিয়ার ও জীবন পর্যন্ত শেষ করে দেয়।
অনুরাগ লিখেছেন, এই দুর্ভোগ এক দশক ধরে সহ্য করেছেন তিনি।
অভিনবের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে এই পোস্টে। সেখানে তিনি একাধিকবার সলমনের নাম নিয়েছেন।
সুশান্তের আত্মহত্যার পর অভিনবের এই অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। সলমনের মতো বলিউডের বহু তারকাই সুশান্তর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাঁদের ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে এবং তাঁরা ভণ্ডামি করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশ।