নয়াদিল্লি: রাজকুমার রাও, তাপসী পান্নু, অলঙ্কৃতা শ্রীবাস্তব, রিচা চড্ডা, অনুভব সিনহা, অনুরাগ কাশ্যপ, পরিণীতি চোপড়া, ফারহান আখতার, ভিকি কৌশল, আয়ুষ্মান খুরানা, হুমা কুরেশি, তালিকাটা আরও বড়, আরও দীর্ঘ। এঁনারা প্রত্যেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনি নিয়ে নিজেদের মত ব্যক্ত করেছেন এবং সর্বোপরি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি আক্রমণের নিন্দায় সরব হয়েছেন। চুপ রয়েছেন বলিউডের ‘শাহেনশা’ এবং ‘বাদশা’, দুজনেই। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তাঁদেরই সহ অভিনেতা, অভিনেত্রীরা যখন সরব, তখন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, রণবীর সিংহদের বিরুদ্ধে মুখে কুলুপ আটার অভিযোগ। বলিউডের মহাতারকাদের এই মৌন অবস্থানেই প্রশ্ন উঠছে, ‘ওঁরা কেন চুপ’? ‘শেম অন বলিউড’ হ্যাশট্যাগে বিদ্ধ মহাতারকাদের অনেকেই।


আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি-র প্রতিবাদে সমাবেশে ‘আজাদি’ স্লোগান কানহাইয়ার


অমিতাভ বচ্চন, রণবীর সিংহ তো বটেই, তীক্ষ্ণ প্রশ্নবানে বিদ্ধ হয়েছেন কিং খান। তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করেছেন রেডিও জকি তথা অভিনেতা রোশন আব্বাস। ট্যুইটে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শাহরুখ খানকে রোশনের প্রশ্ন, “আপনি নিজেও জামিয়ার প্রাক্তনী, কিছু বলুন। কে আপনাকে চুপ থাকতে বাধ্য করেছে?” খানেদের মধ্যে শুধু শাহরুখই নন, মৌন অবস্থান নিয়েছেন আমির ও সলমনের মতো তারকারাও। অতীতে ‘অসহিহষ্ণুতা’ নিয়ে সরব হলেও এই ইস্যুতে একেবারেই চুপ আমির। কোনও পতিক্রিয়া আসেনি সলমন খানের পক্ষ থেকেও।


এদিকে নাগরিকের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারের হয়ে গলা ফাটালেন ভিকি কৌশল, হুমা কুরেশিরা। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি বর্বতার কড়া নিন্দা করেছেন রাজকুমার রাও। বাক্ ও মতামত প্রকাশের মতো সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার যেভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে, তাতে আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে আয়ুষ্মান খুরানাকে। একই সঙ্গে হিংস্র পথের বদলে অহিংস প্রতিবাদের পক্ষে সওয়ালও করেছেন তিনি।








শুধু বলিউড-ই নয়, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সরব হয়েছে টলি ইন্ডাস্ট্রিও। মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানের মতো টলি অভিনেত্রী তথা সাংসদরা ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব সিএএ বিরোধী মিছিলে রাস্তায় নেমেছেন। যদিও লোকসভায় সিএবি পাশের সময় তাঁদের অনুপস্থিতিতেও উঠেছে প্রশ্ন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় নিজের প্রতিবাদ ব্যক্ত করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।






বাংলার নাগরিক সমাজও এই ইস্যুতে গর্জে উঠেছে। সাহিত্যিক, শিল্পী থেকে চিত্রকর, সবাই একযোগে এই আইনের বিরোধিতায় নিজেদের সামিল করেছেন। প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে ক্রিকেট মহল থেকেও। ইরফান পাঠানের মতো তারকা ক্রিকেটারও এ নিয়ে সরব হয়েছেন। এর পরও কোনও এক অজ্ঞাত কারণ চুপ মহাতারকারা। কেন অই নিশ্চুপ অবস্থান, প্রশ্ন নেটিজেনদের।