যদিও রায় পুনর্বিবেচনার এই আর্জির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। তিনি বলেছেন, ‘দুই সংগঠনই বিভাজন ও বিবাদের পরিবেশ তৈরি করছে।’
জমিয়তের শীর্ষ নেতা মাদানি অবশ্য নিজেদের সিদ্ধান্তের সমর্থনে বলেছেন, ‘আদালতই আমাদের অধিকার দিয়েছে রিভিউ পিটিশন করার। সেই পথেই এগিয়েছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘অযোধ্যা মামলায় বিতর্কের মূল বিষয়বস্তু ছিল মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ তৈরি হয়েছিল কি না। শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, মন্দির ধ্বংস করেই যে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, এমন কোনও প্রমাণ নেই। সুতরাং মুসলিমদের অধিকার প্রমাণিত। অথচ চূড়ান্ত রায় এর বিপরীতধর্মী। এই রায় আমরা বুঝতে পারিনি। তাই পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছি।’
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ের প্রধান বক্তব্য ছিল, অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রাম মন্দির তৈরিতে কোনও বাধা নেই। মুসলিমদের মসজিদ তৈরির জন্য ওই বিতর্কিত জমির বাইরে ৫ একর জমি দিতে হবে সরকারকে। এই রায় নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে তখন থেকেই অসন্তোষ ছিল। তবে মামলাকারীদের অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড জানিয়ে দেয়, তারা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে না। শেষ পর্যন্ত সোমবার মামলা দায়ের করল জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ।
প্রায় একই দাবি নিয়ে চলতি সপ্তাহেই আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল বোর্ড। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, দেশের ৯৯ শতাংশ মুসলিমই রিভিউ পিটিশনের পক্ষে।