নয়াদিল্লি: মসজিদে ঢুকে মুসলিম মেয়েদের প্রার্থনার অধিকার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন। পুনের এক দম্পতির পিটিশনের শুনানি করতে রাজি হল বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। কেন্দ্রকেও নোটিস দিয়ে জবাব পেশ করতে বলেছে বেঞ্চ। আবেদনকারী দম্পতির দাবি, প্রার্থনার জন্য মুসলিম মহিলাদের মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর রীতিকে ‘অসাংবিধানিক’, ‘বেআইনি’ আখ্যা দিতে হবে। সাংবিধানিক বিধির উল্লেখ করে তাঁদের সওয়াল, ধর্ম, জাতপাত, সম্প্রদায়, লিঙ্গ ও জন্মস্থানের ভিত্তিতে দেশের কোনও নাগরিকের প্রতিই বৈষম্য হওয়া উচিত নয়।
শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মেয়েদের ঢোকার ব্যাপারে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের জন্যই তাঁদের পিটিশনের শুনানি করা হবে বলে দম্পতির কৌঁসুলিকে জানিয়েছে আবেদনকারী বেঞ্চ। বলেছে, শবরীমালা মন্দির মামলায় আমাদের রায় রয়েছে। এই একটিমাত্র কারণের জন্যই আপনাদের বক্তব্য শুনতে পারি।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর তত্কালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ ৪-১ রায়ে কেরলের শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মেয়েদের প্রবেশাধিকার দেয়। এ ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাকে লিঙ্গ বৈষম্য আখ্যা দেয় বেঞ্চ।
আবেদনকারী দম্পতির আরও সওয়াল, সম্মান-মর্যাদা ও সমানাধিকারের জীবন সবচেয়ে পবিত্র অধিকার, তাই কোনও মুসলিম মহিলাকে মসজিদে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা যায় না।
বাইরের দেশগুলিতে মুসলিম মহিলাদের মসজিদে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয় কিনা, আজ প্রাথমিক শুনানির সময় আবেদনকারীদের আইনজীবীর কাছে বেঞ্চ জানতে চায়। তিনি জানান, পবিত্র মক্কা ও কানাডায় মুসলিম মহিলারা মসজিদে প্রার্থনার জন্য যেতে পারেন।
যদিও বেঞ্চ তাঁকে প্রশ্ন করে, সমতার মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র-বহির্ভূত শক্তিগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য কিনা, বলে, সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে আরেকজন মানুষের কাছ থেকে কি সমানাধিকার চাওয়া যায়?
ভারতে মসজিদগুলি রাষ্ট্রের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে বলে আদালতকে জানান ওই কৌঁসুলি।