নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের হাপুরে গত ১৮ জুন গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ পেয়ে মিরাট পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি)-কে তদন্ত করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। দু সপ্তাহের ভিতর রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোহত্যায় জড়িত সন্দেহে সেদিন দুজনকে একদল লোক মারধর করে বলে অভিযোগ। মারাত্মক জখম ৪৫ বছর বয়সি মাংস ব্যবসায়ী কাসিম কুরেশির মৃত্যু হয় পরে। তাঁর সঙ্গী ৬৪ বছরের সমিউদ্দিন প্রাণে বেঁচে যান।
সমিউদ্দিন বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গড়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে পিটিশন পেশ করেন সুপ্রিম কোর্টে। এও আবেদন করেন, মামলার তদন্ত ও বিচারপর্ব যেন রাজ্যের বাইরে সরিয়ে হোক। তারই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ হাপুরের জেলা পুলিশ সুপারকে বলেছে, সমিউদ্দিনকে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন যেন বিচার করে দেখা হয়।
বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
বেঞ্চ ২৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন স্থির করেছে।
সমিউদ্দিনের আইনজীবী এদিন জানান, কুরেশি ও তাঁর মক্কেলকে গোহত্যায় জড়িত সন্দেহে মারধর করা হয়েছে, কিন্তু হাপুর পুলিশ গণপিটুনি নয়, রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় রেষারেষির ঘটনা হিসাবে মামলা রুজু করেছে।
ঘটনার আসল অপরাধী যুধিষ্ঠির সিংহ শিসোদিয়া সহ অভিযুক্তদের জামিন বাতিলের দাবি করেন সমিউদ্দিনের আইনজীবী।
ঘটনাটি গণপিটুনি, রাস্তায় রেষারেষি নয়, বোঝাতে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি এক মিনিটের ভিডিওরও উল্লেখ করেন তিনি।