কাশ্মীরের স্কুলশিক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর মহম্মদ ইউনিস মালিক জানিয়েছেন, ‘ফের স্কুল চালু করার জন্য সব প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। সবাই ফের স্কুল চালু করার বিষয়ে আশাবাদী। স্কুলগুলিতে ফের পঠনপাঠন শুরু করার বিষয়ে অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজকর্মীরাও উদ্যোগ নিয়েছেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি পড়ুয়ারাও অনুপ্রাণিত। শ্রীনগরের স্কুলগুলি চলবে সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত। কাশ্মীরের অন্যান্য অঞ্চলগুলিতে সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত স্কুলগুলি চলবে। পড়ুয়া, শিক্ষক, অভিভাবক সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্কুল শুরুর সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
হাসিনা মকবুল নামে এক অভিভাবক জানিয়েছেন, ‘গত বছরের ৫ অগাস্টের পর থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের। আমাদের সন্তানদের শিক্ষার ক্ষতি হয়েছে। ওদের স্কুলে পাঠানোর মাধ্যমে আরও ক্ষতি হওয়া ঠেকানো যাবে। আমার দুই সন্তানের স্কুল ইউনিফর্ম গুছিয়ে রেখেছি। ওরা চুল কাটিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি। আশা করি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
কাশ্মীর উপত্যকায় ১৩,৮০০ স্কুল আছে। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর উপত্যকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। গত বছরের ১৯ অগাস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি খোলা হয়। দু’দিন পরে মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতেও পঠনপাঠন শুরু হয়। কিন্তু বেশিরভাগ পড়ুয়াই অনুপস্থিত ছিল। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই একই ছবি দেখা যায়। ১০ ডিসেম্বর শীতের ছুটির কথা ঘোষণা করে সরকার। তারপর আগামীকাল স্কুল খুলছে।