মুম্বই: বিতর্কিত মন্তব্যে করে ফেঁসে যাওয়া মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক রাম কদমকে আলাউদ্দিন খিলজির তুলনা করল শিবসেনা। কদম সম্প্রতি দহি হান্ডি উত্সবের অনুষ্ঠানে অল্পবয়সি ছেলেছোকরাদের উদ্দেশ্যে বলেন, পছন্দের মেয়েটি যদি প্রেমের প্রস্তাব ফেরায়, তবে তাঁকে জানালে তিনি সেই মেয়েকে কিডন্যাপ করে এনে দেবেন! সেজন্যই তাঁকে ত্রয়োদশ শতকের সুলতানি শাসকের পাশে বসাল বিজেপি শরিক।


শিবসেনার মুখপত্র সামনা-র সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন তালাক ইস্যুতে মুসলিম মহিলাদের ন্যয়বিচার দিতে চাইছেন, কিন্তু মহারাষ্ট্রে তাঁর দলের বিধায়ক মহিলাদের মনে ত্রাস ছড়াচ্ছেন। রানি পদ্মিনী কয়েক হাজার রাজপুত মহিলাকে সঙ্গী করে নিজেদের সম্মান, ধর্ম অটুট রাখতে জওহর ব্রত পালন করেছিলেন। আলাউদ্দিন খিলজি ও তাঁর শাসনের বিরুদ্ধে  তাঁদের আত্মবলিদান আজও ভারতের মহিলাদের প্রেরণা দেয়।  কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, মহারাষ্ট্রের মহিলাদেরও বিজেপির খিলজির বিরুদ্ধে জওহর ব্রত পালনের সময় এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহভাজন বিজেপি বিধায়ক রাম কদম  মহিলাদের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, যা তাঁর ঔদ্ধত্যের পরিচয় দেয়।  উনি বলেছেন, কোন মেয়েটাকে পছন্দ বলো, আমি ওকে তুলে এনে দেব। মহারাষ্ট্রে এ কী ধরনের জঘন্য সংস্কৃতি এল? বিজেপি  মহিলা, কৃষক, জওয়ানদের স্ত্রীদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা এ ধরনের লোকজনকেই প্রশ্রয় দেয়। এমন লোকজনের ছত্রপতি শিবাজির নাম নিয়ে রাজ্য চালানোর কোনও অধিকার নেই। রাজ্যের যুবসমাজকে কী বার্তা দিচ্ছে বিজেপি? এই কি ওদের হিন্দুত্ব, তার সংস্কৃতির নমুনা? ভোটে জেতার লোভে ময়লা ঘাঁটলে এটাই হয়।  গত ৫ বছরে যে বীজ রোপন করা হয়েছে, তার ফল দেখা যাচ্ছে এখন।

শিবসেনা প্রশ্ন তুলেছে, দেশের নানা ইস্যুতে মুখ খুললেই বিরোধীদের দেশবিরোধী বলতে অভ্যস্ত বিজেপি  নেতারা কেন কদমের মন্তব্যের ব্যাপারে চুপ করে রয়েছেন।