মোরাদাবাদ: সন্দেহভাজন করোনা-আক্রান্তদের নিতে আসা চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের ওপর পাথরবৃষ্টির ঘটনা ঘিরে রণক্ষেত্র উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ। ভাঙচুর করা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও। অভিযোগ, গুলিও চালানো হয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু।
মোরাদাবাদে হাজি নেব মসজিদ এলাকার ওই ঘটনায় দেশ জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শয়ে শয়ে হামলাকারী জড়ো হয়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের ওপর পাথরবৃষ্টি করছে। মহিলারাও বাড়ির ছাদ থেকে পাথর ও অন্যান্য় জিনিস ছুঁড়ছে।
আক্রান্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক জানান, প্রচুর হামলাকারী রাস্তায় জড়ো হয়ে তাদের ঘিরে ধরে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। কয়েকজন স্বাস্থকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, এক সম্ভাব্য কোভিড-১৯ আক্রান্তকে নিয়ে যেতে গিয়েছিল মেডিক্যাল টিম ও পুলিশ। যখন ওই ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্স তোলা হয়, আচমকা চারদিক থেকে প্রচুর হামলাকারী জড়ো হয়ে আমাদের দিকে অবিরাম পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। কয়েকজন চিকিৎসক সেখানে আটকে রয়েছেন। আমরা আহত হয়েছি।
খবরে প্রকাশ, সম্প্রতি এক কোভিড পজিটিভ রোগী সেখানে মারা গিয়েছে। এদিন, মৃতের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যেতেই সেখানে পৌঁছন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সদস্যদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে যখন তাঁরা কোয়ারান্টিন সেন্টারের দিকে ফিরছিলেন, তখনই পথ আটকে তাঁদের ওপর পাথরবৃষ্টি শুরু হয়।
মেডিক্যাল টিমের এক সদস্য বলেন,
এদিকে, এই ঘটনাকে অমার্জনীয় অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে তিনি জানিয়ে দেন, হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ধারায় যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অর্থও দোষীদের থেকে আদায় করা হবে। পরে, মোরাদাবাদের পুলিশ সুপারও জানান, মহামারী আইন, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা হবে।
এর আগে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একইভাবে করোনা-আক্রান্তদের স্ক্রিনিং করতে যাওয়া নার্সদের ওপর পাথর ছোঁড়ে স্থানীয় জনতা।