কলকাতা: কিছুদিন আগেই দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র কথা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিজেপির রাজ্য দফতরে দলে নবাগত শোভনকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। বিজেপি দফতরে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাশে বসে শোভন তাঁর প্রাক্তন দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোরাল আক্রমণ শানিয়েছেন। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বৈশাখীও। যদিও সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁর নাম বাদ যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বৈশাখী। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নালিশও করার কথা বলেন বৈশাখী।অভিযোগের পর অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় যোগ হয় তাঁর নাম।



তাঁর এই ক্ষোভ সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেন, আলাদা করে বলা হয়নি, দুজনকেই বলেছি। বলা উচিত ছিল বলেও  মেনে নেন  দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, শোভন-বৈশাখী যেন ডালের সঙ্গে ভাত, ওঁরা আলাদা নাকি?


প্রথমে অনুষ্ঠানে যেতে নারাজ ছিলেন বৈশাখী।পরে অনুষ্ঠানে যেতে সম্মত হন বৈশাখী।একসঙ্গেই গেলেন রাজ্য বিজেপি দফতরে।

সাংবাদিক বৈঠকে শোভন বলেন, ‘তৃণমূলে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি ছিল যন্ত্রণাদায়ক। ৮ মাস তাই তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতে ছিলাম না।বৈশাখীই আমার বিপদের বন্ধু।বৈশাখী ও আমি পরস্পরের পরিপূরক। তবে  স্বতন্ত্র। দিলীপ ঘোষের কাছে আমার কোনও ফোন নম্বর এখনও নেই।বৈশাখীর মাধ্যমেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ।দিলীপ ঘোষের আন্তরিকতা দেখেছিলাম। বিজেপি যেভাবে মনে করবে, সেভাবে আমাকে পরিচালনা করুক’।

শোভন আরও বলেন, ‘বাম আমলে দেখেছিলাম কীভাবে পুলিশ অত্যাচার করেছিল।আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে অত্যাচার, মুক্তি চেয়েছিল মানুষ।যাকে পরিত্রাতা হিসেবে দেখেছিল মানুষ, সেই তৃণমূল বদলে গেছে।এখন বিরোধীদের জীবন বিপন্ন করে দল করতে হচ্ছে।বাম আমলেও এত আতঙ্ক নিয়ে কাজ করতে হয় নি বিরোধীদের।সত্যিকারের ভোটাধিকার পেলে বাংলায় আমূল পরিবর্তন হত।মানুষ সঠিকভাবে রায় দিতে পারলে অন্য কিছু হত।বাংলাকে আবার মুক্ত করার সময় এসে গেছে।বিজেপিকে জয়যুক্ত করে গঠনমূলক সরকার দিতে হবে।বাম জমানার চেয়েও এখন বেশি সন্ত্রাস।আগে একজন ভাল কর্মী হতে চাই’।

‘বৈশাখী আর আমি একে অপরের পরিপূরক’, দিলীপের ‘ডাল-ভাত’ মন্তব্যের জবাব শোভনের

শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সম্বর্ধনা জানানোর পর  দিলীপ ঘোষ বললেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজনৈতিক মানুষ। তাঁকে রাজনৈতিক কাজে লাগাতেই দলে যোগ দিতে বলা।