ফ্যামিলি কোর্টে ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্ত্রী সকালে তাঁকে চারটে লাড্ডু খেতে দিচ্ছেন আবার সন্ধেয় চারটে। মাঝখানে আর কিচ্ছু না। এমনকী চাইলেও খেতে দেওয়া হচ্ছে না। লাড্ডু খেয়ে খেয়ে প্রাণ অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে, ক্ষিদেয় ভুবন অন্ধকার দেখছেন। এবার ডিভোর্স চাই।
কিন্তু আদালত পড়েছে মহা ফাঁপরে। ভদ্রলোকের বিয়ে হয়েছে ১০ বছর, তিন ছেলেমেয়ে রয়েছে। কিছুদিন আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী এক তান্ত্রিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তান্ত্রিক তাঁকে পরামর্শ দেন, স্বামীকে লাড্ডু খাওয়াতে। কিন্তু মহিলাকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন বলতে পারছে না আদালত। তিনি পুরোপুরি বিশ্বাস করেন, ওই লাড্ডু সেবনই তাঁর স্বামীকে সারিয়ে তুলবে। অন্য কথা শুনতে মোটেই রাজি নন। এই পরিস্থিতিতে শুধু লাড্ডু খাওয়ানোর জন্য ডিভোর্স দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে আইনের সব ধারা আদালত খতিয়ে দেখছে।