বেজিং: ভারত সীমান্তে পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানাল চিন। যদিও তাতে পারদ গলছে না। বরং ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান তথা সড়ক পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ জানিয়ে দিলেন, গোটা বিশ্ব যখন করোনা সংক্রমণের জন্য চিনকে দায়ী করছে, তখন নজর ঘোরানোর জন্য চিনের সুপরিকল্পিত কৌশল এটা। তিনি বলেছেন, ‘একাধিক সংস্থা চিন থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। তাই এভাবেই ওরা নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে। আগেও বহুবার এটা করেছে ওরা।’


চিন বুধবার জানিয়েছে, সীমান্তে উত্তেজনা আপাতত নিয়ন্ত্রণে এবং দুই দেশই কূটনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটি মিটিয়ে নিতে পারে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ‘আমরা দুই দেশের চুক্তি মেনে চলছি এবং দুই দেশের শীর্ষনেতারা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তা অনুসরণ করছি।’

বুধবার চিনের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিজিয়ান জানান, ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে চিনের বক্তব্য স্পষ্ট এবং সুসংহত। তাঁর মতে, দুই দেশের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। যে সমস্যা চলছে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব।

লিজিয়ানের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং চিনের সেনাকে যুদ্ধপ্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আসন্ন জানিয়ে তাদের দৃঢ়ভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যদিও তিনি কোনও বিশেষ দেশ বা প্রতিপক্ষের নাম করেননি। কিন্তু ভারত ও চিনের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ভারত ও চিনের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। তবে চিনা সেনার অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।