নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিকে (এমএসইএমই) ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচাতে ৫ দফা কর্মসূচির প্রস্তাব দিলেন সনিয়া গাঁধী। সরকারের ১ লক্ষ কোটি টাকার এমএসএমই বেতন সুরক্ষা বা ওয়েজ প্রোটেকশন প্যাকেজ ঘোষণা করা উচিত বলে সওয়াল করে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর অভিমত, এই চাকরিগুলি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি লোকজনের মনোবল চাঙ্গা করায় এটা খুব সাহায্য করবে, যে আর্থিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তা থেকে অনেকটা রেহাই মিলবে।
লকডাউন পর্বে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র-মাঝারি সেক্টরে দৈনিক ৩০ হাজার কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে, এই ক্ষেত্রের ১১ কোটি কর্মীর কাজ হারানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করেন সনিয়া।
তিনি আরও প্রস্তাব দিয়েছেন, সরকার ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড তৈরি করুক যাতে এই সেক্টরকে অবিলম্বে নগদের সংস্থান করে দেওয়া যায়, এমএসএমই-র সবচেয়ে বেশি দরকারের সময় যথেষ্ট মূলধনের ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়। সনিয়া বলেছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গৃহীত পদক্ষেপের প্রতিফলন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির কাজকর্মে হওয়া উচিত যাতে ক্ষুদ্র,মাঝারি সেক্টরকে সহজ ,সময়মতো, যথেষ্ট ধার দেওয়া নিশ্চিত হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে আর্থিক ব্যবস্থাই নিক, তার পিছনে সরকারের দৃঢ় আর্থিক মদত থাকা চাই।
ধার শোধ করার ওপর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্থগিতাদেশের সময়সীমা ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে বৃদ্ধির প্রস্তাবও দেন সনিয়া। বলেন, এইসব পদক্ষেপকে মদত দেওয়া প্রয়োজন। আরবিআই ক্ষুদ্র, মাঝারি সেক্টরের ক্ষেত্রে লোন পরিশোধের ওপর তিন মাসের যে স্থগিতাদেশ জারি করেছে, তার মেয়াদ আরও বাড়ানো হোক। এই সেক্টরের জন্য করা মকুব বা হ্রাস ও অন্যান্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা, অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত সরকারের।
সনিয়া লিখেছেন, সরকার স্বীকার করেছে, এমএসএমইগুলি আমাদের অর্থনীতির মেরুদন্ড। সুতরাং সেই মেরুদন্ডের অস্তিত্ব বজায় থাকা ও আরও শক্তিশালী হওয়া সুনিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এটাই। এটা এমন একটা ব্যাপারে যেখানে সময়মতো, স্পষ্ট ব্য়বস্থা গ্রহণই যাবতীয় ফারাক গড়ে দিতে পারে।