মুম্বই: করোনাভাইরাসজনিত লকডাউনের কারণে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগের জন্য বিভিন্ন মহলের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। এরপর অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি তাঁর আরও একটি সেবামূলক উদ্যোগ সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। তেলঙ্গনার পিতৃমাতৃহীন ৩ শিশুকে দত্তক নিলেন সোনু।
ওই তিন শিশুর দুঃখদুর্দশার কথা সোনুকে ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন রাজেশ করনাম নামে এক ইউজার। সোনুকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছিলেন, তেলঙ্গনার ইয়াদারি ভুবনগিরি জেলার তিন শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে। ওদের আর কেউ নেই। ওদের মধ্যে যে বড় সে কোনওক্রমে অন্যদের দেখভাল করছে। ওরা অনাথ হয়ে গিয়েছে। ওরা আপনার সাহায্যপ্রার্থী। অনুগ্রহ করে ওদের পাশে দাঁড়ান।
ওই ইউজার একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেন। ভিডিওতে জানা গিয়েছে, ওই তিন শিশুর বাবা এক বছর আগে মারা গিয়েছেন। কয়েকদিন আগে মারা যান তাদের মা-ও। ভিডিওতে তিনজনের মধ্যে যে সবচেয়ে বড় তাকে সোনু সুদের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছে। কারণ, তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো অন্য কেউ নেই। আটমাকুরের নয় বছরের শিশু মনোহরকে ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়েছে, অভাবগ্রস্তদের সাহায্যে সোনু সুদ আঙ্কলের এগিয়ে আসার বহু ভিডিও আমি দেখেছি। এমন কোনও আঙ্কল কী আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসতে পারেন না। আমি চিকিত্সক হয়ে দরিদ্রদের সেবা করতে চাই।
এই করুণ ভিডিও নজরে আসার পরই সোনু ওই শিশুকে নিজের কাছে টেনে নেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, ওরা আর অনাথ নেয়। ওদের দায়িত্ব আমার।
কয়েকদিন আগেই সোনু হায়দরাবাদের ২৬ বছরের এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন। চাকরি হারিয়ে সব্জি বিক্রির পেশা বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর খবর প্রকাশিত হতেই সোনু চাকরির প্রস্তাব দেন তাঁকে।
এরমধ্যে সোনু আবার পাশে দাঁড়ালেন তিন অসহায় শিশুর।
তেলঙ্গনার পিতৃমাতৃহীন অসহায় তিন শিশুর সাহায্যের আর্জি, দত্তক নিলেন সোনু সুদ
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
02 Aug 2020 08:09 AM (IST)
ভিডিওতে জানা গিয়েছে, ওই তিন শিশুর বাবা এক বছর আগে মারা গিয়েছেন। কয়েকদিন আগে মারা যান তাদের মা-ও। ভিডিওতে তিনজনের মধ্যে যে সবচেয়ে বড় তাকে সোনু সুদের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছে।
NEXT
PREV
আজ ফোকাস-এ (aaj-focus-e) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -